'রিকশা' যার আভিধানিক অর্থ হলো 'মনুষ্যবাহিত বাহন'।
আরে
ভাই আরও জোরে চলেন না, যেভাবে যাচ্ছেন তারচেয়ে ঠেলাগাড়ি ও জোরে চলে।
ইফতারি আজ রাস্তায় করতে হবে। আর তোমাকে না কতবার বলছি এই সব বয়স্ক লোকদের
রিকশায় উঠবে না। ছেলেমেয়ে ২ টা আমার জন্য বসে আছে। আল্লাহ রহম করো।
.
হ্যা আমি সেই সব লোকদের কথা বলছি যারা আমাদের কে নিজের কাধে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
.
বয়সের বাড়ে যাদের ঘার কুজো হয়ে গেছে তারপর ও ছুটে চলে অবিরাম।
.
তাদের আমরা ডাকি খালি, কেউ মামা। কেউ চাচা কিংবা ভাই।
.
মার্কিন মিশনারি জোনাথন স্কোবি ১৮৬৯ সালে রিকশা উদ্ভাবন করলেও
ঢাকা বিশ্বের রিকশা রাজধানী নামে পরিচিত।
.
স্কোবি থাকতেন জাপানের সিমলায়।
.
বাংলা 'রিকশা' শব্দটি এসেছে জাপানী 'জিন্রিকিশা' (人力車, 人 জিন্ = মানুষ, 力 রিকি = শক্তি, 車 শা = বাহন) শব্দটি থেকে, যার আভিধানিক অর্থ হলো 'মনুষ্যবাহিত বাহন'।
.
১৯০০ সালে কলকাতায়, তবে মালপত্র বহনের জন্য। ১৯১৪ সালে কলকাতা পৌরসভা রিকশায় যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়। ততদিনে ব্রক্ষদেশ মানে মিয়ানমারের রেঙ্গুনেও রিকশা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
.
১৯১৯ সালে রেঙ্গুন থেকে রিকশা আসে চট্টগ্রামে। তবে ঢাকায় রিকশা চট্টগ্রাম থেকে আসেনি; এসেছে কলকতা থেকে। নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা আনেন।
.
এই শহরে রোজ প্রায় ৪,০০,০০০টি সাইকেল রিকশা চলাচল করে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, ঢাকায় কমপক্ষে পাঁচ লক্ষাধিক রিকশা চলাচল করে এবং ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষই রিকশায় চড়ে।
.
২০১৫ সালের গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রকাশনায় এ সম্পর্কিত একটি বিশ্বরেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
.
শহরটিতে রিকশা একদিকে যেমন পুরানো বাহন, তেমনি এই রিকশার কারণে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট।
.
যারা রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালিয়েও আমাদের মন জয় করতে পারে না। উল্টা পাল্টা হলে বাবার বয়সী কাউকে চড় থাবা দিতে ২ বার ভাবতে হয় না।
.
লজ্জাটা শুধু কাদের তাই জানতে ইচ্ছা করে?
.
লজ্জা ঘৃণা তো সেদিন উঠে গেছে যখন বাবা চাচার বয়সী রিকশায় হুক তুলে......
নাউজুবিল্লা বলা তখন ফরজ হয়ে যায়।
.
থাক রমজান মাসে অশ্লীলতার দিকে না যাই।
.
বৃদ্ধ রিকশা চালক ৫ টাকা বেশি চাইছে দেখে ছেলেটা ধমক দিয়ে এসে ফেসবুকে মানবতার পক্ষে গলা ফাটায়।
.
মানবতা আজ কোথায়?
.
রিকশা চালিয়ে জসীম, আলমগীর কোটিপতি হতে পারলেও অন্যদের ভাগ্য খোলে নাই।
.
তাদের সর্বোচ্চ প্রাপ্য বলতে বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১-এর বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, যেখানে বাংলাদেশের রিকশায় করে মাঠে উপস্থিত হন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর দলপতিরা।
.
পাশাপাশি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে বিশ্বকাপে আগত অতিথিদের বরণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে ৭টি রিকশা পাশাপাশি বসিয়ে পিছনে WELCOME-এর প্রতিটি হরফ আলাদা আলাদাভাবে লিখে স্বাগত জানানো হয়।
.
এছাড়া ঐবছর বিশ্বকাপকে উপলক্ষ করেসিএনএনগো ওয়েবসাইট প্রকাশ করে ঢাকার দশটি বিষয়ের বর্ণনামূলক প্রতিবেদন, যে দশটি বিষয় দিয়ে চেনা যাবে ঢাকাকে, যার তৃতীয়টিই ছিল রিকশাচিত্র।
.
আপনি রোজা রেখে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন সেখানে সে রোজা আছে কি না জানার চেষ্টা করছেন?
.
গালাগালি কিংবা গায়ে হাত তোলার সময় মনে থাকে না কিন্তু পত্রিকায় বাসের চাপায় রিকশাচালক নিহত হলে আফসোসের দীর্ঘনিশ্বাসের শেষ থাকে না।
.
দীর্ঘনিশ্বাসে বুকটা ফেটে যায় যখন দেখি মায়ের বয়সের কেউ রিকশা চালাচ্ছে।
.
হায়রে দেশ, হায়রে আমার স্বাধীনতা।
.
বৃদ্ধা যখন বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালায় কয়জন আমরা মাথায় ছাতা ধরি? তখন কোথায় থাকে আমাদের মানবতা।
.
আর জাতি হিসাবে তো আমাদের স্বভাব আছে বয়স্ক কারো রিকশায় না চড়া।
.
লেখা শেষ করার আগে একটু নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে যাই। কেননা বদনাম করার জন্য তো হেটার্সরা আছে।
.
একবার বর্ষার সময় রিকশা নিলাম। রিকশাচালক বৃষ্টিতে ভিজতেছিল। তার কোন রেইনকোড ছিল না। কারন জিজ্ঞেস করলে, টাকার অভাবে কিনতে পারে নাই।
.
তখন তাকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০০ টাকা বেশি দিলাম। সে অবাক হয়ে বললো ১০০ টাকা বেশি দিলেন।
.
আমি হাসিমুখে বললাম মামা টাকাটা রাখেন পারলে রেইনকোড কিনবেন।
.
যদিও টাকাটা যথেষ্ট ছিল না।
.
কিন্তু আমি বিশ্বাস করি হয়তো আমার মত কেউ কিছু সাহায্য করছে।
.
.
হ্যা আমি সেই সব লোকদের কথা বলছি যারা আমাদের কে নিজের কাধে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
.
বয়সের বাড়ে যাদের ঘার কুজো হয়ে গেছে তারপর ও ছুটে চলে অবিরাম।
.
তাদের আমরা ডাকি খালি, কেউ মামা। কেউ চাচা কিংবা ভাই।
.
মার্কিন মিশনারি জোনাথন স্কোবি ১৮৬৯ সালে রিকশা উদ্ভাবন করলেও
ঢাকা বিশ্বের রিকশা রাজধানী নামে পরিচিত।
.
স্কোবি থাকতেন জাপানের সিমলায়।
.
বাংলা 'রিকশা' শব্দটি এসেছে জাপানী 'জিন্রিকিশা' (人力車, 人 জিন্ = মানুষ, 力 রিকি = শক্তি, 車 শা = বাহন) শব্দটি থেকে, যার আভিধানিক অর্থ হলো 'মনুষ্যবাহিত বাহন'।
.
১৯০০ সালে কলকাতায়, তবে মালপত্র বহনের জন্য। ১৯১৪ সালে কলকাতা পৌরসভা রিকশায় যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়। ততদিনে ব্রক্ষদেশ মানে মিয়ানমারের রেঙ্গুনেও রিকশা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
.
১৯১৯ সালে রেঙ্গুন থেকে রিকশা আসে চট্টগ্রামে। তবে ঢাকায় রিকশা চট্টগ্রাম থেকে আসেনি; এসেছে কলকতা থেকে। নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা আনেন।
.
এই শহরে রোজ প্রায় ৪,০০,০০০টি সাইকেল রিকশা চলাচল করে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, ঢাকায় কমপক্ষে পাঁচ লক্ষাধিক রিকশা চলাচল করে এবং ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষই রিকশায় চড়ে।
.
২০১৫ সালের গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রকাশনায় এ সম্পর্কিত একটি বিশ্বরেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
.
শহরটিতে রিকশা একদিকে যেমন পুরানো বাহন, তেমনি এই রিকশার কারণে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট।
.
যারা রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালিয়েও আমাদের মন জয় করতে পারে না। উল্টা পাল্টা হলে বাবার বয়সী কাউকে চড় থাবা দিতে ২ বার ভাবতে হয় না।
.
লজ্জাটা শুধু কাদের তাই জানতে ইচ্ছা করে?
.
লজ্জা ঘৃণা তো সেদিন উঠে গেছে যখন বাবা চাচার বয়সী রিকশায় হুক তুলে......
নাউজুবিল্লা বলা তখন ফরজ হয়ে যায়।
.
থাক রমজান মাসে অশ্লীলতার দিকে না যাই।
.
বৃদ্ধ রিকশা চালক ৫ টাকা বেশি চাইছে দেখে ছেলেটা ধমক দিয়ে এসে ফেসবুকে মানবতার পক্ষে গলা ফাটায়।
.
মানবতা আজ কোথায়?
.
রিকশা চালিয়ে জসীম, আলমগীর কোটিপতি হতে পারলেও অন্যদের ভাগ্য খোলে নাই।
.
তাদের সর্বোচ্চ প্রাপ্য বলতে বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১-এর বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, যেখানে বাংলাদেশের রিকশায় করে মাঠে উপস্থিত হন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর দলপতিরা।
.
পাশাপাশি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে বিশ্বকাপে আগত অতিথিদের বরণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে ৭টি রিকশা পাশাপাশি বসিয়ে পিছনে WELCOME-এর প্রতিটি হরফ আলাদা আলাদাভাবে লিখে স্বাগত জানানো হয়।
.
এছাড়া ঐবছর বিশ্বকাপকে উপলক্ষ করেসিএনএনগো ওয়েবসাইট প্রকাশ করে ঢাকার দশটি বিষয়ের বর্ণনামূলক প্রতিবেদন, যে দশটি বিষয় দিয়ে চেনা যাবে ঢাকাকে, যার তৃতীয়টিই ছিল রিকশাচিত্র।
.
আপনি রোজা রেখে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন সেখানে সে রোজা আছে কি না জানার চেষ্টা করছেন?
.
গালাগালি কিংবা গায়ে হাত তোলার সময় মনে থাকে না কিন্তু পত্রিকায় বাসের চাপায় রিকশাচালক নিহত হলে আফসোসের দীর্ঘনিশ্বাসের শেষ থাকে না।
.
দীর্ঘনিশ্বাসে বুকটা ফেটে যায় যখন দেখি মায়ের বয়সের কেউ রিকশা চালাচ্ছে।
.
হায়রে দেশ, হায়রে আমার স্বাধীনতা।
.
বৃদ্ধা যখন বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালায় কয়জন আমরা মাথায় ছাতা ধরি? তখন কোথায় থাকে আমাদের মানবতা।
.
আর জাতি হিসাবে তো আমাদের স্বভাব আছে বয়স্ক কারো রিকশায় না চড়া।
.
লেখা শেষ করার আগে একটু নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে যাই। কেননা বদনাম করার জন্য তো হেটার্সরা আছে।
.
একবার বর্ষার সময় রিকশা নিলাম। রিকশাচালক বৃষ্টিতে ভিজতেছিল। তার কোন রেইনকোড ছিল না। কারন জিজ্ঞেস করলে, টাকার অভাবে কিনতে পারে নাই।
.
তখন তাকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০০ টাকা বেশি দিলাম। সে অবাক হয়ে বললো ১০০ টাকা বেশি দিলেন।
.
আমি হাসিমুখে বললাম মামা টাকাটা রাখেন পারলে রেইনকোড কিনবেন।
.
যদিও টাকাটা যথেষ্ট ছিল না।
.
কিন্তু আমি বিশ্বাস করি হয়তো আমার মত কেউ কিছু সাহায্য করছে।
.