Posts

Showing posts from August, 2018

যেভাবে জীবনের শুরুঃ প্রথম স্বয়ম্ভূর খোঁজে

Image
১৯৬০ সালের পরে বিজ্ঞানীগণ প্রাণের উৎস অনুসন্ধানে তিনটি মতবাদে বিভক্ত হয়ে গেলেন। কারো ধারণা জীবন শুরু হয়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ের জৈবিক কোষ গঠনের মাধ্যমে। অন্য একদল বিজ্ঞানী মনে করেন জীবনের সূত্রপাত হয়েছিল রাসায়নিক বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু আরেকদল বিজ্ঞানী বংশগতি এবং আপন কোষের প্রতিলিপি সৃষ্টির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেষ – দলের বিজ্ঞানীগণ , যে কোষটি নিজেই নিজের অনুরূপ সৃষ্টি করতে পারে তাদের স্বরূপ কেমন ছিল সেটা অন্বেষণের চেষ্টা করেন। এই বিজ্ঞানীগণ প্রথম থেকেই জোর দিয়ে প্রচার করেন জীব – কোষ আরএনএ দিয়ে তৈরি।       ১৯৬০ দশকের বিজ্ঞানীগণের চিন্তা করার যথেষ্ট কারণ ছিল যে আরএনএ হলো সকল প্রাণের উৎস। বিশেষত আরএনএ এমনকিছু করতে পারে যেটা ডিএনএ করতে পারে না। আরএনএ হলো একটা নমনীয় সুতো সদৃশ মলিকিউল। অন্যদিকে ডিএনএ হলো দুইটা সুতো যারা নিজেরা পেঁচিয়ে স্তরে স্তরে বিভিন্ন আকারে সাজানো থাকে। আপনি এনজাইম ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। আরএনএ – এর ভিতরে কাগজের মত ভাজ করা একটা বস্তু দেখা গেল যেটা প্রোটিনের মত আচরণ করে। প্রোটিন দেখতে সাধারণত অনেকটা লম্বা সুতোর মত। প্রোটিন নিউক্লিওটাইড নয় বরং অ্

আবদুস সাত্তার খান

Image
একটি দেশের মেরুদণ্ড হচ্ছে সেই দেশের বুদ্ধিজীবী ও মেধাবী সন্তানেরা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যখন বুঝতে পারে বাংলাদেশের কাছে তাদের পরাজয় আসন্ন তখন তারা বাংলাদেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়ার এক নীল নকশা প্রণয়ণ করে। এই ষড়যন্ত্রের বলি হিসেবে শহীদ হয়েছেন আমাদের অসংখ্য মেধাবী মানুষেরা যাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বড্ড প্রয়োজন ছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সেই ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞ থেকে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া একজন গুণী মানুষের কথা বলতে বসেছি। তিনি আবদুস সাত্তার খান। আবদুস সাত্তার খান (From Wikipedia, the free encyclopedia) আবদুস সাত্তার খান ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী। ১৯৪১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নবীনগর উপজেলার খাগাতুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবেই তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। এর পরে তাঁর ছেলেবেলা কাটে নানার বাড়িতে । সেই সময়ের বাংলাদেশের অনগ্রসর এক গ্রাম থেকে পড়ালেখার প্রাথমিক ধাপ শেষ করাটা খুব সহজ ছিল না।কিন্তু সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাড়ি থেকে অনেক দূরের পথ পাড়ি দিয়