Posts

Showing posts from 2019

পাত্রী যখন ছাত্রী.....অসাধারণ একটা ভালোবাসার গল্প আশা করি ভালো লাগবে...

Image
প্রায় মিনিট পাঁচেক হবে,আমি পড়াতে এসে বসে রইলাম।এখনও ইশিতা মানে আমার ছাত্রী আসার নামই দেখতেছি না।পড়বে না নাকি,,,,?ধ্যাত, ভালোই লাগে না আর টিউশনি করাতে।মনে মনে এসব ভাবতেছি,,,,, :-কেমন আছেন,স্যার? আমার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে বলল,ইশিতা। :-এইতো আছি একরকম।তোমার খবর কি?(আমি) :-ভালো।(বসতে বসতে বললো,ইশিতা) :-আজ এতো সাজগোজ করে আসার কারণ কি?কোথায়ও যাবে নাকি?(আমি) :-না,স্যার।আপনা র জন্য সাজলাম,আর কি,,,,(মিনমিনিয় ে কথাটা বললো,যা আমার কানে পৌছালো) :-মানে,,,? :-না,স্যার।কিছু না। :-নাও বই নাও।আর এতদেরী করে আসো কেন?তোমার পরিক্ষার তো চারদিন বাকি,তাইনা? :-হুমম,আসলে স্যার সাজতে সাজতে একটু দেরী হয়ে গেলো।আচ্ছা,স্যা র,শাড়ীতে এবং সাজগোজে আমায় কেমন লাগছে,,,,?(ইশিত া) :-হুমম,ভালো।(আম ি) :-শুধু ভালো,,,?(মন খারাপ করে) :-না না,খুব ভালো।এবার তো বই নাও,,,,, :-স্যার,আজকে না আমার পড়তে মন চাইতেছে না,,, :-তাহলে আমি আজ আসি,,,,,, এই বলে আমি উঠতে যাবো,,,,, :-স্যার উঠছেন কেন?আমি তো বলি নাই পড়বো না,শুধু বললাম মন চাইতেছে না,,,,, :-ও,,,তাহলে আর কোন কথা না বলে পড়তে বসো,,, :-আচ্ছা,,,তার আগে আমা কয়েকটা কথার জবাব দ

তুমি এসেছিলে......

Image
parthoroydiptho.blogspot.com   . --আঙ্কেল, অনুগ্রহ করে আপনার হাতটা সরিয়ে , ঠিক হয়ে বসুন। অর্ধশত বয়সের লোকটাকে তখন থেকে ঠিক করে বসার জন্য অনুরোধ করছিলাম।কিন্তু পাঁচ মিনিট পর উনি আবার আগের রুপে ফিরে আসে। ভাবতে অবাক লাগে , এরকম আচরণ কোনো এক বাবার বয়সী লোক আমাদের মত মেয়েদের সাথে করে।বলতে খারাপ লাগে,বিবেকে বাধে,বর্তমানে তরুন যুবকদের থেকেও বেশি ভয়ংকর হলো এই বাবার বয়সী কাপুরুষগুলো। সিএনজির মাঝের সিটে বসেছিলাম।আমার বাম পাশে মামাতো বোন বসে, আর ডান পাশে অর্ধশত বয়সের আঙ্কেলটা বসে।উনাকে আঙ্কেল বলতেও লজ্জা হয়। ছিঃ ! বারবার উনার হাতের কনুইটা কোমরে এসে লাগতে থাকে।নিষেধ করার পরেও যখন উনি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলেন না তখন বাধ্য হয়ে ড্রাইভারকে বললাম উনাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। আর ঠিক তখনি সামনের সিটে বসা একটা ছেলে গাড়ি থামিয়ে লোকটাকে বললো, --আঙ্কেল , বাবার গুরত্ব বোঝেন ?প্রকৃত বাবা হলেন তিনি, যার কাছে সন্তান নিরাপদ।আর সেই সন্তান যে শুধু আপনার হবে তা নয়।জানেন তো আঙ্কেল, পৃথিবীর সকল সন্তানের চোখে একজন বাবা কিন্তু বাবা'ই হয়।আর সেটা নিজের বাবা না হলেও আমরা সন্তানরা রাস্তায় বাবার বয়স

ভালো থাক দিদি.........অসাধারণ একটা ভালোবাসার গল্প আশা করি ভালো লাগবে....

Image
Parthoroydiptho.blogspot.com  . . . একজন পুরুষ যতটা সুদর্শন হলে কোন রমণীর ভাবনার জগৎটা যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়াই দখল করা নিতে পারে ঠিক ততটাই সুদর্শন ছিল পরেশ ।জোড়া ভ্রু,ইয়া বড় চোখ,ঠান্ডা মেজাজ,চওড়া বুক আর খোঁচা খোঁচা দাড়িতে স্মীত হাসি দিয়ে যেকোন রমণীকে সহজেই ঘায়েল করতে পারত পরেশ ।দিদির সাথে সাড়ে তিন বছরের ভালবাসাবাসির সম্পর্ক ছিল আর এখন তো সারাজীবনের জন্য ! পরেশ দিদিকে যে চিঠি লিখছে সবগুলোই আমার পড়া ,আমি লুকিয়ে লুকিয়ে পরেশের দেয়া চিঠিগুলো পড়ে নিতাম ।দিদির কাছে চিঠি পৌছাবার একমাত্র বিশ্বস্ত মাধ্যম আমিই ছিলাম ,পরেশ আমার বা হাতের মুঠোয় চিঠি গুজে দিত আর ডান হাতে টকঝাল লজেন্স ।দিদির পাশে শুয়ে আমি লজেন্সের প্রাণটা একবারে শুষে নিতাম আর দিদি নিত পরেশের চিঠির শব্দব্রহ্মান্ডে লুকোনো অনূভূতিগুলোকে ।এমন সময় গিয়েছে যে মাঝ রাতে পরেশের ফিসফিসানি ডাকে আমার ঘুম ভেঙে গেছে ,মেজাজ বিগড়ে তখন চোখ পাকিয়ে বলতাম-পরেশ দা এত রাতে ঘুম না ভাঙালে হত না? পরেশ হাসিহাসি মুখ করে বলত - শ্যালিকা এই কান ধরলাম আর এমন হবেনা ,অর্পাকে একটু ডেকে দাওনা ।দিদি বেহুশ হয়ে ঘুমাতো ! অনেক ডাকাডাকি করে ঘুম ভাঙিয়ে আমি