Posts

Showing posts from September, 2018

আমার খুব কাছের বোন হুমায়রা আহমেদ মোনা তার জীবনের ঘটে যাওয়া।

Image
                                     জীবনে প্রথম শারীরিক সম্পর্কে জড়াই যখন আমার বয়স ২০।অবাক হচ্ছেন? অবাক হবার ই বিষয়। বাড়িতে সৎ ভাইয়ের অমানবিক নিযার্তনের শিকার হতাম প্রতিদিন।অনেকটা জেদের বশত বাবাকে রাজি করিয়ে ঢাকাতে ভতি' হলাম।থাকতাম ধানমন্ডির শুক্রাবাদ এলাকায়।অনেক খেত ছিলাম অইসময়।স্মার্টনে ছ বুঝতাম না।মফস্বলের সাদামাটা মেয়ে ছিলাম। বান্ধবিদের সাথে ক্লাসের বিরতিতে কাছের এক শপিং মলে গেলাম।আমার বান্ধবি তানিয়াকে দেখলাম একটা ছেলের সাথে কথা বলতে।কিছুক্ষণ পর ছেলেটিকে এনে পরিচয় করিয়ে দিলো বলল ওর বন্ধু।ছেলেটি বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিলো। আমি ইগনর করছিলাম।কয়েকদিন পরে আবিষ্কার করি ছেলেটি আমার বাসার পাশেই থাকে।শুরু হলো তার আমার পিছনে লাগা।ফেসবুকে বন্ধু হতে চাওয়া,আমার সাথে দেখা করতে চাওয়া,ভাসি'টির গেটে দাড়িয়ে থাকা। মেয়ে মানুষ না না করতে করতেই কখন যেন প্রেমে পড়ে গেলাম।তার অবশ্য আগে একজন প্রেমিকা ছিল।সেই মেয়ে নাকি তার সাথে অনেক বড় প্রতারণা করেছে।দিনের পর দিন ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করেছে।বলতে যেয়ে ছেলেটা কাদো কাদো হয়ে গেলো। ছেলেটি আমায় অনেক অনুরোধ করলো আমি যেন তার সাথে এরকম কখন

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৯..শেষ/সমাপ্ত পর্ব

Image
  গতকালের বিষয়ের পরে সকালে আমরা তিন বন্ধু চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলাম ।যেহেতু অনেকদিন পরে ওদের সাথে দেখা তাই আড্ডাটা বেশ জমে উঠেছিল । হটাত্‍ রাজ কোথা থেকে যেন হাঁপাতে দৌড়ে এলো । . . -আবির পালা ।পুলিশ তোকে খুঁজছে । -আমাকে খুঁজছে !কিন্তু কেন ? . . উত্তর পাওয়ার আগেই দুজন জাঁদরেল টাইপের পুলিশ সামনে এসে দাঁড়ালো ।ভয়ে সবারই কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে । . . -এই তোমাদের মধ্যে আবির কে ? -জ্বী আমি । -আমাদের সাথে চল ! -কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন স্যার আর তাছাড়া আমার দোষ কী ? -চুপচাপ আমাদের সাথে চল ।তোকে ধরে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার হুকুম আছে ? . . চুপচাপ পুলিশের গাড়িতে করে যেতে থাকলাম ।কিন্তু একি ?পুলিশ স্টেশন তো ঐদিকে ।তাহলে আমাকে এদিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ।অবশেষে এসে থামল সিটি হাসপাতালের সামনে । আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে পুলিশের সাথে থানায় যাওয়ার পরিবর্তে হাসপাতালে এলাম ।কিন্তু একি মিথি ,মেঘা ,অনু ওরা এখানে কেন ?অবশ্যই একটা রহস্য আছে । . . -এই যে স্যার ঐ ছেলেকে ধরে নিয়ে এসেছি ।(কনস্টেবল) -আচ্ছা আপনারা যান আমি দেখছি । (ভদ্রলোক) . . অতঃপর কনস্টেবলগুলো চলে গেল । . -তোমার নাম কি আবির ?

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৮ম পর্ব

Image
  আজ সকাল থেকেই অধরাকে কেমন একটা খুশি খুশি লাগছে ।ক্যাফেটেরিয়াতে অধরা ও তার বান্ধবীরা অপেক্ষা করছে । বান্ধবী বলতে মিথি,মেঘা,অনু আর পুষ্পিতা । সবাই অধরাক আজকের আচরন দেখে আশ্চর্য ।কারন,আজকেই প্রথম তার বয়ফ্রেন্ডের জন্মদিন পালন করছে ।অবশ্য এর আগেও অধরার অনেকগুলো বয়ফ্রেন্ড ছিল ।তাদের বার্থডে পালন করা দূরে থাক তাদের সাথে বসে সব্বোর্চ ৫ কাপ কফি খাওয়ার রেকর্ড পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ।কারন ,৬ কাপ কফি খাওয়ার আগেই অধরা সবগুলো ছেলের সাথে ব্রেক-আপ করেছে ।অনেকেই হয়তো ছ্যাকা খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে ।যাই হোক এবার সেই ইতিহাস চাপা রেখে ফিরে আসি বাস্তবতায় । . . -আচ্ছা দোস্ত একটা কথা বলি(অনু) -হ্যাঁ ।বল (অধরা) -আচ্ছা তুই কি আবির ভাইয়াকে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছিস ? -হঠাত্‍ তোর মুখে এই প্রশ্ন ? -না মানে তোর তো আগেও অনেক বয়ফ্রেন্ড ছিল ।কিন্তু তাদের তো কখনোই বার্থডে সেলিব্রেট করিসনী ।তাদেরকে তো তোর বার্থডেতেও ইনভাইট করিস নাই ?আবির ভাইয়ার বেলায় ব্যতিক্রম । -তোকে বলেছিলাম না আমি আমার মনের মতো কাউকে খুঁজছি ।আবির ঠিক আমার মনের মতোই ।প্রথমে ভেবেছিলাম ওর সাথেও একইভাবে গেইম খেলবো ।কিন্তু এ

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৭ম পর্ব

Image
  চিরকালই আমি আমার পড়ালেখার একঘেয়িমে দূর করতে একটু ফেসবুকে আসি ।আজকেও এলাম ।উফফ কি যে মজা আজকে দেখি সেই পুরাতন ক্রাশ অনলাইনে ।ভাবছিলাম একটু চ্যাট করি ।যেই না ম্যাসেজ দিতে গিয়েছি তার আগেই অপরিচিত আইডি থেকে ম্যাসেজ এলো ।সাধারনত আমি অপরিচিত কারোর সাথে আগ্রহ নিয়ে চ্যাট করি না ।সেজন্য মেসেজটা সিন করে ফেলে রাখলাম । আবারও একটা মেসেজ এলো । সাথে একটা ছবি ।যা ভাবছেন সেটাই ।এই অপরিচিত আইডিটা অধরার আর পিকটাও অধরার । বালিকা যে স্টাইলে পিক তুলেছে মনে হয় নিজেকে মিস ইউনিভার্স মনে করে ।যে ডেনজারাস মেয়ে সেটা ভাবতেও পারে । . . -হ্যালো (আমি) -কি করছিলে ।এত দেরি হল যে ? (অধরা) -আরে আমি তো অপরিচিতদের সাথে চ্যাট করি না ।তাই তোমার মেসেজের রিপলে দিইনি । -গুড ।রাতে খেয়েছো ? -হ্যাঁ ।তুমি ? -আমিও ।আচ্ছা একটা কথা বলি ? -হ্যাঁ,বলো । -আচ্ছা তোমার কি আগে কারোর সাথে ইটিশ-পিটিশ ছিল নাকি ? -ছিঃ ।এটা তুমি আমায় বলতে পারলে । -কিন্তু তোমার পেস্টের বেশিরভাগ কমেন্টগুলো মেয়েদের কেন ? -আরে মেয়েরা গল্প পড়তে ভালবাসে তাই কমেন্ট করে । -তার মানে তোমার ফ্রেন্ডলিস্টের সবগুলো মেয়ে ।তুমি আমার সাথে চাপাবাজি করেছো ?

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৬ষ্ঠ পর্ব

Image
বাসায় এসে দিলাম এক ঘুম ।এক ঘুমেই দুপুর ,বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা ।ঘুম থেকে উঠে দেখি মোবাইলে প্রায় একশত মিসডকল ।যেহেতু মোবাইলটা সাইলেন্ট করা ছিল সেজন্য ঠিক পায়নি ।কে দিতে পারে এত মিসডকল ? সবগুলোই তো অপরিচিত নাম্বার থেকে এসেছে ।যাই হোক ভাবলাম নাম্বারটাতে নিজেই কল করে দেখি ।নাম্বারটি ডায়াল করতেই মিষ্টি কন্ঠের একজন মহিলা আমার সিম ব্যালেন্সের অবস্থা জানান দিল ,আপনার প্রিপেইড কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে আপনার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে । এবার ২নং সিম দিয়ে কল দিয়েও প্রায় একই রেজাল্ট পেলাম ! আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স শেষ ,অনুগ্রহ করে রিচার্জ করুন অথবা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেতে এত এত ডায়াল করুন (মিষ্টি কন্ঠে) ।আপনাদের একটা কথা বলে রাখা উচিত যে আমর মোবাইলে কোনোদিনও ব্যালেন্স থাকে না আর থাকলেও মেয়েদ উত্তীর্ন ।যাই হোক এত ভেবে কাজ নেই ।যাই একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে আসি । . . বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম ।ঠিক তখনই সেই অচেনা নাম্বার থেকে আবারও কল এলো ।রিসিভ করে , . . -হ্যালো ।নমষ্কার,আদাব,আ স্যালামালাইকুম ?কে বলছেন? -জ্বী,নমষ্কার,আ দাব, ওয়ালাইকুমাসালাম ।তোর যম বলছি ! -স

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৫ম পর্ব

Image
  বাসা থেকে বেরিয়ে কলেজে চলে গেলাম ।যেহেতু আমাদের নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ তবুও কলেজে আসতে হলো ।কারনটা আগেই জানতে পেরেছেন ।ঐ তো ওখানেই দাড়িয়ে আছে অধরা । . . -এক্সকিউজ মি ? -কখন এলেন ভাইয়া । -এই তো ।এইমাত্রই এলাম ।তুমি আমাকে কিছু বলতে চেয়েছিলে ? -হ্যাঁ ।চলুন ঐ বট গাছটার নিচে বসি তারপর বলছি ! -যা বলবে তাড়াতাড়ি বলো ।আমার হাতে একদমই সময় নেই । -সারাদিন যখন ফেসবুকে চ্যাট করেন তখন তো সময় ঠিকই থাকে আর আমার সাথে একটু কথা বলতে গেলেই বলেন সময় নেই । -এক্সকিউজ মি ।তোমাকে কে সাহস দিলো আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার । -কেউ সাহস দেয় না ।সাহসটা তৈরী করে নিতে হয় । -ঠিক বুঝলাম না ? -বুঝিয়ে বলছি ।কিন্তূ তার আগে আপনাকে বলতে হবে আপনি আমার কথাটা শোনার পরে স্বাভাবিক আচরন করতে হবে । -কি এমন অস্বাভাবিক কথা বলবে যে আমাকে স্বাভাবিক থাকতে হবে ? -আগে বলুন কথাটা আপনি স্বাভাবিকভাবেই নিবেন । -আচ্ছা ঠিক আছে ।এবার বলো কি কথা ? -আসলে একটা কথা অনেকদিন থেকেই বলতে চাচ্ছি ।কিন্তু কিভাবে যে বলি ? -এক মিনিট দাঁড়াও ।এ আমি কাকে দেখছি ?আমি যে অধরাকে চিনি সে তো একেবারে সোজাভাবে কথা বলে ।একদমই ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলে

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৪র্থ পর্ব

Image
  অনেকদিন পরে আজকে বন্ধুদের সাথে একটু অড্ডা দেওয়ার সুযোগ পেলাম । . . -কিরে কেমন আছিস তোরা ? -ভালো ।তোর শরীরের অবস্থা কেমন ? এখন পুরোপুরি সুস্থ । তা সুজন কোথায় ।ওকে তো দেখছি না ? -ওর বাবার চাকরী ট্রান্সফার হয়ে গেছে । তাই ও টি.সি নিয়ে ওখানকার কলেজে ভর্তি হয়েছে । -ও আচ্ছা । চল ক্লাসে যায় । . . অতঃপর সবগুলো ক্লাস করে বাসায় ফিরতে যাব ঠিক তখনি,, . . -ভাইয়া এক মিনিট দাঁড়ান । (অধরা) -হ্যাঁ বলো । -ভাইয়া আমাদের মডেল টেস্ট পরীক্ষার আর কিছুদিন বাঁকি ।এখন আপনি যদি একটু হেল্প করতেন তবে ভালো হতো । -আমি কিভাবে হেল্প করবো? তাছাড়াও তুমি সাইন্স স্টুডেন্ট । -আপনি শুধু আমাকে একটু ICT বিষয়ে একটু দেখিয়ে দিলেই হবে । -আমি তো নিজেই পারি না ।তোমাকে পড়াবো কিভাবে ?আর তাছাড়া স্যাররা কি ভাববে ? তুমি বরং অন্য কারোর কাছে বলো । -আমি না ICT'র অংক করার সময় ক্লাস ও কোচিং দুজায়গাতেই মিস করেছি ।এখন তো আমার একার জন্য ICT'র অংক প্রথম থেকে শুরু করবে না । এখন আপনি যদি আমাকে না পড়ান তবে পাশ করতে পারব না । -আচ্ছা পড়াতে পারি । তবে তোমার বাসায় গিয়ে নয় ।ক্লাস শেষে লাইব্রেরীতে চলে যেও ? -

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৩য় পর্ব

Image
  -একটু দেরি হয়ে গেল তাই না ।(আমি) -আরে না । এটুকু দেরি হতেই পারে ।(অধরা) আচ্ছা তুমি কিছু বলতে চেয়েছিলে ? -আসলে আমি আপনাকে না বুঝেই থাপ্পড় টা দিয়েছি ।ভেবেছিলাম আপনিও আর ৫টা ছেলের মতো ।আসলে বর্তমান যুগে ভালো ছেলেদের খুঁজে পাওয়া বিরল । প্লিজ ক্ষমা করে দিয়েন । -আরে আমি কিছু মনে করিনী ।আসলে ভুল মানুষেরই হয় । -আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলি ? -হ্যাঁ বলো ।কি বলতে চাও ? -আমি কি আপনাদের ব্লাড ব্যাংকের সদস্য হতে পারি? -অবশ্যই ।এটা তো খুশির খবর ।কালকে আমাদের ক্যাম্পে চলে এসো । -আপনাকে আরেকটা ব্যাক্তিগত কথা জিঞ্জাসা করতে পারি? -ব্যক্তিগত কথা ।আচ্ছা বলো! -আপনার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই? -হঠাত্‍ এ প্রশ্ন ? -না মানে আপনার সব বন্ধুদেরই তো গার্লফ্রেন্ড আছে ।কিন্তু আপনার নেই এজন্য? -না এখন পর্যন্ত তেমন কাউকে পায়নি । -আচ্ছা আপনার কেমন মেয়ে পছন্দ ? -একেবারে দেশি সাংস্কৃতিক মেয়ে ।যেসব মেয়েরা জিন্স,টপ পড়ে তাদেরকে আমার একদমই বিরক্ত লাগে. এই বলে আমি উঠতে চাইলাম আর আমাকে ওখান থেকে উঠতে দিল না..আমি বসেই থাকলাম.. একটু সময় দুজনে চুপ হয়ে গেলাম.. মনে হচ্ছি লো যেন.. আমি পাএী দেখতে এসে সি.. এ ভাবে দুই

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ২য় পর্ব

Image
পরেরদিন কলেজে গিয়ে অধরাকে খুজতে লাগলাম । যেহেতু ট্রিট পেয়েছি সেহেতু কাজটা করতেই হবে । কিন্তু কে বা জানে অধরাকে ধরা যাবে কি না ।কারন আমিতো আর বাংলা সিনেমার অনন্ত জলিল না ।যার কাজ অসম্ভবকে সম্ভব করা ।তবে সন্দেহ আছে জীবনে একটাও অসম্ভকে সম্ভব করতে পেরেছে কি না ? তবে আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি ।আমার নামের সাথে তো বির(বীর) লাগানোই আছে তাহলে এত কাপুরুষের মতো থেকে লাভ কি । পিছন দিকে তাকিয়ে হাঁটছিলাম ।হঠাত্‍ কিসের সাথে যেন ধাক্কা খেলাম । পিছনে ঘুরে তাকাতেই দেখি অধরা ।যাকে আমি পুরো ক্যাম্পাস খুঁজে বেরাচ্ছি আর সে এখানে । কিছু বলতে যাব তার আগেই । . . -ঠাসসসসসসস..... দেখে চলতে পারিস না যত্তসব ।মেয়ে দেখলেই গায়ের উপর পড়া অভ্যাস ! . -দেখুন আপনার ভুল হচ্ছে । আমি কিন্তু তেমন ছেলে না । . -তা কেমন ছেলে তুই সেটা আমার দেখা হয়ে গেছে ।দাঁড়া তোর ব্যবস্থা করছি । . -এই এখানে কি হয়েছে রে অধরা (নীলা) . -আর বলিস না ।মেয়ে দেখলেই গায়ের উপর পড়া স্বভাব আর গেল না । . -কোন ছেলে ।এটা ।আরে আপনি আবির ভাইয়া না । . -জ্বী ।তুমিতো নীলা । কি ঠিক বললাম তো . -জ্বী ভাইয়া ।আপনি আমার নামটাও জানেন ।

ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend

Image
কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম আমরা ৪ বন্ধু । হঠাত্‍ কোথা থেকে আমাদের ৫ম একমাত্র প্রেমিক পাগল বন্ধু হাঁপাতে হাঁপাতে দৌঁড়ে এলো । যেভাবে দৌড়ে এলো ভেবেছিলাম পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়েছে ।কিন্তু না ।সে কেন দৌঁড়ে এলো তা একটু পড়েই জানতে পারবেন । . . -কিরে দোস্ত এমন কুত্তার মতো হাঁপাচ্ছিস কেন ? পুলিশের তাড়া খেয়ে এলি নাকি ? . -দোস্ত আমার সব শেষ ।আমারে বাঁচা ? . -ও বুঝেছি ।ছিনতাইকারীরা তোর মোবাইল ,মানিব্যাগ নিয়ে গেছে ? . -আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না । আমি মরে যেতে চাই । . -মোবাইল ,মানিব্যাগ হারালেই মরে যেতে হবে নাকি ।আমরা তোর মোবাইল কিনে দিব । . -আরে আমার মোবাইল,মানিব্যা গ হারায়নি ।আমার প্রান হারিয়ে গেছে । এ দেহে আর প্রান নেই ।আমার ভালোবাসা শেষ । আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না । . -কেন রে ।তোর যে একটা ৬ মাসের রিলেশন ছিল ওটার কি হয়েছে ।সেই যে ৬ মাস আগে আমাদের এতিম করে মেয়েটির হাত ধরে চলে গেলি আর আজকে ৬ মাস পরে কাঁদতে কাঁদতে এলি । . -ভাই আমাদের মধ্যে কোনো ভালোবাসা ছিল না । ও আমাকে শুধু এই ৬ মাস ব্যবহার করেছে । . -আগেই বলেছিলাম মেয়ে সুবিধার না । এখন বুঝলি তো ? এখন আয় এ

Ture Love Stroy Part 06

Image
।   part 05 এরপর আমি আরিয়ানের কাছে ফোন নিলাম। আমার হাত কপালে.. ----হ্যালো কে বলছেন? ----কেমন আছো জান? ----মানে?কে আপনি?আর আপনার জান কে? ----ভুলে গেলা জান আমি কে?মনে পড়ে আজ থেকে চার বছর আগে আমাকে চর মেরেছিলে তোমাকে ভালবাসার অপরাধে। ----হুম আমি। তুমি ভুলে গেলেও আমি ভুলি নাই। তাই তোমার বর আর তোমার ভাইকে আমি কিডন্যাপ করেছি। ----কি তোর এত বড় সাহস কুত্তার বাচ্চা। ----এই একদম না। আমাকে ভুল করে রাগানোর চেস্টা করবা না। এতে তোমারই ভাল হবে।একটা ঠিকানা দিচ্ছি সেখানে তুমি চলে আসো। কথাগুলা শোনার পর আমি মাটিতে বসে পড়লাম। কি করব কিছু বুঝতে পারতেছি না.. ---ভাবি আমাদের যা করতে হবে তা ঠান্ডা মাথায় করতে হবে। আর ওরা ভাইয়াকে এত সহজে কিভাবে ধরল আমি তাই ভাবছি। ----আরিয়ান আমি কি করব তুমিই বলো। ----ভাবি আমি টেনশনে থাকলে কিছুই করতে পারি না। ----আরিয়ান তোমার চাচা না পুলিশ কমিশনার। ----হুম ধন্যবাদ। আমি চাচ্চুকে জানাচ্ছি। -----হুম তাই কর আরিয়ান।আর আমি রিফাতের দেয়া জায়গায় যাব। ----না ভাবি আমি কিছুতেই তোমাকে বিপদে ফেলতে পারব না। ----না আরিয়ান আমাকে যেতেই হবে। । । আমি রিফাতের দেয়া ঠিকানায় চলে আ

Ture Love Stroy Part 05

Image
  part 04 এরপর আজ নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। আমার স্বামীকে কি ভেবেছিলাম আর উনি কি বের হল। সত্তিই আজ আমি অনুতপ্ত। তার কাছে ফিরে যাওয়ার কোন মুখ নেই আমার কাছে। হঠাৎ কেউ আমার কাধে হাত রাখল। আমি চমকে উঠলাম। পিছনে ঘুরে দেখি তিশা।একি তিশার চোখে পানি কেন?আমরা দুজনে চুপচাপ।আমি আচমকা তিশাকে জড়িয়ে ধরে জোড়ে কান্না করে দিলাম। তিশা আমার কান্না থামানোর চেস্টা করছে আমায় শান্তনা দিয়ে কিন্তু আমার কান্না কিছুতেই থামতে চাইছে না.. ----এলিজা বোন আমার,তুই শান্ত হো এভাবে ভেঙে পড়িস না। ----আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি রে তিশা। আমি কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না। ----তুই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিস এর চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না বোন। তুই তোর স্বামীর কাছে ফিরে যা। ----তা আর হয় না তিশা আমি কোন মুখে ওনার কাছে যাব। আর উনি আমায় কখনোই মেনে নিবে না। ----তুই যা ভাবছিস তা হয়ত না। তোর স্বামী হয়ত তোকে এখনো অনেক ভালবাসে। ----কিন্তু উনি যখন জানতে পারবে আমি অপবিত্র। উনি কি তখন আমায় মেনে নিবে?কখনোই না। আর আমি তার সামনে গিয়ে দাড়াতে চাই না। ----উনি খুব ভাল মানুষ রে। যে তোকে সুখি দেখার জন্য কিছু না ভেবে তোকে মুক্তি দি

Ture Love Stroy Part 04

Image
।   part 03 এরপর দেখলাম তিশা রুমে এসে ওর সব গুছাচ্ছে।আমি চোখ মুছে ওর সামনে গেলাম.. ----কিরে কই যাচ্ছিস? ----এই বেহায়া মেয়ে,একদম আমার সাথে কথা বলার চেস্টা করবি না। আমি আজ থেকে এই রুমে থাকব না। অপবিত্র মেয়ে একটা।ছি তোর সাথে কথা বলতে আমার ঘৃনা করে।সরে যা এখান থেকে। আমাকে ঠেলা মেরে ফেলে তিশা চলে গেল।আজ আমার বুক ফেটে কান্না বের হচ্ছে।কেন জানি না মনে হচ্ছে আজ যদি আমি মরে যেতাম তাহলে খুব ভাল হত।তিশা আমার ছোটবেলার বন্ধু। আজ আমাদের এগার বছরের বন্ধুত্ব রক্ষা হল না।আমি কি এমন অপরাধ করছিলাম। না না অপরাধ?আমি যে কাজ করেছি তাতে আমার ক্ষমা নেই।আমি যে আমার স্বামীর সাথে বেইমানী করেছি। আমার স্বামীর আমানত রক্ষা করতে পারি নাই।আমার এই অপরাধ ক্ষমা হয় কিভাবে?আমি যে অপবিত্র হয়ে গেছি। আমার বেচে থাকার কোন অধিকার নেই। । । রাত্রি বারোটা বাজে। রুমে আলো জ্বালানো হয় নি। চারদিকে অন্ধকার ছেয়ে আছে। নিস্তব্ধ সব কিছু। এই অন্ধকারের মাঝে আমি বড্ড বেমানান।কখনো ভাবি নাই আমার জীবন এমন একটা রাত আসবে। আজ বাবা,মা,ছোট ভাইয়ের কথা খুব মনে পড়েছে।আর কি কথা হবে না কখনো তাদের সাথে?কিছু বুঝতে পারছি না। অপরাধবোধ আমা

Ture Love Stroy Part 03

Image
। । part 02 এরপর চট্টগ্রাম গিয়ে আমার হোস্টেলে গেলাম। সেখানে আমার বান্ধুবিরা আমাকে প্রশ্ন কর‍তে লাগল.. ----কিরে কি কারনে গিয়েছিলি। ----চুপ থাক তো। অনেক ক্লান্ত আমি। ----না আগে তোকে বলতেই হবে। আমি ওদের সব ঘটনা খুলে বললাম। ওরা আমার কথা শুনে অবাক। তারপর বললল... ----তুই কাজটা একদম ভাল করিস নি। ----আমায় জোড় করে বিয়ে দিয়েছে। তাই আমি চলে এসেছি। ----তুই কি সত্তিই তোর বরের চেহারা দেখিস নি। ---না আমি প্র‍য়োজন মনে করি নাই। ----তবে এটা বলতে পারি তুই একটা হিরা হারিয়েছিস। ----কিভাবে? ----যে তোর খুশির জন্ন তোকে মুক্তি দিয়ে দিল।তোর মত রুপবতিকে পেয়েও টাচ করল না সে আর যাইহোক খারাপ হতে পারে না। ----এই তোরা যাবি এখান থেকে। আমার বান্ধবিরা চলে গেল। কিন্তু ওদের কথা আমায় ভাবিয়ে তুলল।আমি কি কোন ভুল কাজ করেছি?না আমি কোন ভুল কাজ করি নাই। যা করেছি ঠিক করছি। । । সময়গুলা অতিবাহিত হয়ে যাচ্চিল। দেখতে দেখতে প্রায় দুই মাস চলে গেল। এই দুই মাস আমায় কেউ খোজ করে নাই। না বাবা মা। আর না আমার শশুড় বাড়ির লোকেরা। তবে আমি এটা অনুভব করতে পারি যে আমার কারনে আমার মা বাবার মাথা নিচু হয়ে গেছে। আমার কারনে বললে ভ

Ture Love Stroy part 2

Image
......... part 01 এরপর শাশুড়ি আমাকে বলল.. ----আমার ছেলের চোখ আছে মা। একদম পরির মত দেখতে মা তুই। কয়েকজন মিলে আমাকে একটা রুমের মাঝে বসায় দিয়া চলে গেল।কি অদ্ভুদ আমি যেভাবে চেয়েছিললাম সেভাবে আমার প্রিয় ফুল দিয়ে সাজানো রুমটি।কার সালামের আওয়াজ পেলাম.. ----আস সালামুআলাইকুম.. (মনে হয় এসেছে) ----অলাইকুম আস সালাম। ----কেমন আছো? ----দেখুন আপননি আমার সাথে কথা বলবেন না। ----কেন নিজের বউয়ের সাথে কথা বলা কি ইসলামে জায়েজ না? ----থামুন তো... ----আচ্ছা থামলাম। ---হুম.. ----আপনি কিন্তু মাশা আল্লাহ দেখতে অনেক সুন্দর। ----সেটা আমি জানি।আপনার না বললেও চলবে। ----ওহ তাই বুঝি?অনেক ছেলে বলছে তাই না? ----যদি বলি হুম আপনারর কোন প্রবলেম? ---হুম।আপনাকে দেখার অধিকার শুধু আমার আছে। ---উফ চুপ করেন তো।আপনার মত একটা অশিক্ষিত,গাইয়া লোকের সাথে আমি সারা জিবন থাকতে পারব না। সো প্লিজ। ----আপনি কিভাবে জানলেন আমি অশিক্ষিত।আমাকে তো আপনি দেখেন নাই? ----আপনার দিকে তাকাতে আমার রুচিতে বাধে। আবার মুখে দাড়ি। ছিইই! ----দাড়ি রাখা কি একজনের মুসলিমের অপরাধ? ----দেখুন এইসব আমি শুনতে চাই না।চলে যান চোখের সামনে

Ture Love Stroy Part 01

Image
আমি এলিজা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়ছি। বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। আমার একটা ছোট ভাইও আছে। ছোটবেলা থেকে যা চেয়েছি ঠিক তাই পেয়েছি।আমার খুব ইচ্ছা ছিল একজন বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করব। মাস ছয়েক আগে একটা জরুরি কলে বাসা যাই।অনেক দিন পর বাসা যাব এইভেবে খুব খুশি ছিলাম। । । বাসায় গিয়ে দেখি বাসা আমার ফুল দিয়ে সাজানো।পছন্দের ফুল দেখে আমি অনেক খুশি হলাম।মনে হল কারো বিয়ে তাই এভাবে সাজানো হয়েছে। । । আমাকে দেখে সবাই এগিয়ে আসলো। আমার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে গেল। মামাত বোন,খালাত বোন সবাই আছে। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।সবাই কেন আমার বাসায়.. ----আম্মু আম্মু। আমার ডাক শুনে আম্মু এগিয়ে আসল।আম্মুকে দেখে অনেক খুশি মনে হচ্ছে। ----বাবু তুই কখন আসলি? ----আম্মু আমাকে তুমি এত জরুরিভাবে ডাকলে কেন?তুমি জানো আসতে কত ঝামেলা? ----তুই তো দুই ইদ ছাড়া আসিস না। আবার আসলে তিন চারদিনের বেশি থাকিস না। আবার আসতেও চাইস না।আমাদের কথা কি তোর একটুও মনে পড়ে না। -----ওহ মা তুমি কি বল। তোমার মুখ হতে এসব শুনতে আমার একদম ভাল লাগে না(মাকে জড়িয়ে ধরে) ----তোমার মা কখনো ভুল বলে না নানুভাই(নানি) ----নানি তুমিও শুরু করে দি

আজ অনেকদিন পর লিখছি তোমায় নিয়ে..........

Image
প্রিয়তম ....... আজ অনেকদিন পর লিখছি তোমায় নিয়ে . হয়তো এটিই তোমার কাছে লেখা আমার শেষ চিঠি চোখের অশ্রুগুলোর কাছে দিন দিন ঋণী হয়ে যাচ্ছি . তোমার ভালবাসাগুলো মনে হলেই চোখের পাতাগুলো ভিজে উঠে কষ্টের মাত্রাগুলো থার্মোমিটারের পারদের মত বেড়ে উঠে তাই ভেবেছি আর তোমায় মনে করব না না আর মনে করা যাবে না . তোমার মিষ্টি তৃপ্তিমাখা মুখখানা তুমি ভাল আছ তো ..?   জানো আমি না তোমায় ছাড়া একা খুব ভাল আছি শুধু ঘুমহীন রাতগুলো খুব মিস করি . এখন আর মোবাইলের ব্যালেন্স শেষ হওয়ার ভয় নেই অল্প কিছু টাকা দিয়েই এখন আমার মাসখানেক চলে যায় . তোমায় নিয়ে এখন আর এতটা ভাবি না জানো তবু খুব ভাল আছি শুধু একবার হাতটা ধরার সে লোভ আমি কত আগেই ছেড়ে দিয়েছি . এখন আর ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমোতে যাই না , সকাল সকাল তোমায় দেখব বলে cvMvwg Kwi bv এখন আর চোখ বন্ধ করলেই আমি মনে করতে পারি না সত্যিই আমি খুব ভাল আছি তোমার দেয়া কষ্টগুলো এখন আর আমায় কাঁদায় না হয়তোবা অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গে