Ture Love Stroy Part 05


Image result for cute couple pic
  part 04 এরপর
আজ নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। আমার স্বামীকে কি ভেবেছিলাম আর উনি কি বের হল। সত্তিই আজ আমি অনুতপ্ত। তার কাছে ফিরে যাওয়ার কোন মুখ নেই আমার কাছে। হঠাৎ কেউ আমার কাধে হাত রাখল। আমি চমকে উঠলাম। পিছনে ঘুরে দেখি তিশা।একি তিশার চোখে পানি কেন?আমরা দুজনে চুপচাপ।আমি আচমকা তিশাকে জড়িয়ে ধরে জোড়ে কান্না করে দিলাম। তিশা আমার কান্না থামানোর চেস্টা করছে আমায় শান্তনা দিয়ে কিন্তু আমার কান্না কিছুতেই থামতে চাইছে না..
----এলিজা বোন আমার,তুই শান্ত হো এভাবে ভেঙে পড়িস না।
----আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি রে তিশা। আমি কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।
----তুই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিস এর চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না বোন। তুই তোর স্বামীর কাছে ফিরে যা।
----তা আর হয় না তিশা আমি কোন মুখে ওনার কাছে যাব। আর উনি আমায় কখনোই মেনে নিবে না।
----তুই যা ভাবছিস তা হয়ত না। তোর স্বামী হয়ত তোকে এখনো অনেক ভালবাসে।
----কিন্তু উনি যখন জানতে পারবে আমি অপবিত্র। উনি কি তখন আমায় মেনে নিবে?কখনোই না। আর আমি তার সামনে গিয়ে দাড়াতে চাই না।
----উনি খুব ভাল মানুষ রে। যে তোকে সুখি দেখার জন্য কিছু না ভেবে তোকে মুক্তি দিয়ে দিল এমন উদার মানুষ হয় না রে।
----তা আর সম্ভব নয় রে তিশা।
----কিন্তু কেন?কি হয়েছে?
----উনি আজই বিদেশে চলে গেছে। আমার আর ক্ষমা চাওয়া হল না তার কাছে।
----কে বলল তোকে এই কথা?
----নেহা ফোন করে বলেছিল।
কথাটা বলে আমি কান্না করে দিলাম। আমি আজ এতটাই অপরাধি যে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।তিশা আমায় শান্তনা দিচ্ছে।হঠাৎ ওর ফোন বেজে উঠল। তিশা বলল..
----এলিজা তুই থাম আমি একটু আসছি।
তিশা বাইরে চলে গেল। আমি আমার স্বামীর দেওয়া উপহারগুলি বুকে নিয়ে আছি। কেন জানি খুব মায়া লাগছে আজ তার প্রতি। আফসোস হচ্ছে তার মত একজনকে জিবনে হারিয়ে। আমি এতটাই খারাপ যে তার মুখটাও আমি দেখতে পারলাম না। তিশা আবার আমার রুমে আসলো..
----কিরে তিশা কে ফোন দিয়েছিল।
----আরিয়ান ফোন করেছিল। ও আজই দেশে ফিরেছে।
আরিয়ান কথাটা শুনে বুকের বামপাশে মোচড় দিয়ে উঠল। আমি তিশাকে বললাম..
----তুই কোন আরিয়ানের কথা বলছিস।
----আরে তুই যা ভাবছিস তা না। ও এতদিন বিদেশে ছিল। আজ দেশে ফিরেছে। আমার জন্মদিনে পরিচয় করিয়ে দিব।
----ঠিক আছে।
---তুই রেস্ট নে। আমি খাবার নিয়ে আসছি তোর জন্য।


আমি শুয়ে শুয়ে ভাবছি আমার জিবনটা এমন কেন হয়ে গেল। আমি আসলেই কি খুব খারাপ?হুম খারাপ না হলে কি কেউ এমন কাজ করতে পারে?ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি বাবা ফোন দিয়েছে। আমার মন সুখে ভরে উঠল। আমি ফোন রিসিভ করলাম..
----আব্বু কেমন আছো তোমরা?
----তোমাকে এই কথাটা বলতে ফোন দিয়েছি যে আমাদের মেয়ে এলিজা মারা গেছে।
----আব্বু তুমি এমন করে বলো না প্লিজ।
----যে মেয়ে তার মা বাবার সম্মানের কথা ভাবে না তার মরে যাওয়াই বেটার।
----আব্বু আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমায় ক্ষমা করে দাও প্লিজ।
----তোমার প্রাপ্য অংশ উইল করে পাঠিয়ে দিয়েছি । রাখছি তাহলে..
----আব্বু প্লিজ এমন করো না।
----আর হুম আমাদের মৃত্যুর খবর পেলে পারলে দেখে যেও।
আব্বু ফোন কেটে দিল। আমার কস্টগুলো আরো বেড়ে গেল। কি করব কিছুতেই বুঝতে পারছি না। যে বাবা আমি না খেলে খেত না। ঘোড়া সেজে আমাকে খাওয়াত আজ সেই বাবাও পর হয়ে গেল আমার কাছে। আমাত দূরে ঠেলে দিল তারা। আবার ফোন আসলো বাবার। আমি ফোন ধরেই..
----আব্বু আমি সরি(কান্না করে দিলাম)
----আপু আমি প্রতিক।
----প্রতিক ভাই আমার আব্বুকে তুই বুঝা না ভাই(কান্না করতে করতে)
----আপু তুই বাসায় চলে আয়। আব্বু আম্মু দিন দিন কেমন হয়ে যাচ্ছে(বলে ও কান্না করে দিল)
----কাদে না ভাই আমার। আমি জলদি চলে আসবো।
প্রতিক ফোন কেটে দিল। আমি নিজেকে শক্ত করলাম। আমাকে আমার লড়াই একাই কর‍তে হবে। আমাকে আমার স্বামীর যোগ্য হয়ে উঠতেই হবে।


রুমে বসে কান্না করছি। এমন সময় তমা এসে আমার চোখ মুছে দিল..
----কিরে কান্না করছিস কেন?
----কই নাতো?
----তুই এখানে কান্না করছিস আর পুরা কলেজে তোকে নিয়ে মাতামাতি।
----কেন কি হয়েছে?
----তুই আমাদের কলেজে প্রথম হয়েছিস।
----সত্তি(চোখে পানি চলে আসলো)
----তা কি আমি মিথ্যা বলছি নাকি। চল স্যার ডাকছে তোকে।
----হুম চল।
আমি আর তমা কলেজে গেলাম। কলেজে যেতেই ডিন প্রশ্ন করা শুরু করে দিল..
----কি হল এলিজা তোমার কি হয়েছে। কলেজে নিয়মিত আসো না কেন?
----স্যার কিছুটা প্রবলেমে ছিলাম আমি।
----আর চেহারার এ কি অবস্থা করেছ তুমি। চোখের নিচে কালি কেন। তুমি এতটা কেয়ারলেস কিভাবে হতে পার।
----সরি স্যার রাতে ঘুম হয় নি।
----ওকে যাও রেস্ট নাও গিয়ে।
হোস্টেলে এসে শুয়ে পড়লাম। আজ মা বাবাকে এই খবরটা দিতে। বারবার ফোন দিয়েও ফিরে আসছি। ফোন ভাল করে দেখতেই দেখলাম ১৩ টা মিসকল অপরিচিত নাম্বার থেকে। তাহলে কি তন্ময় ফোন দিয়েছে?আমি আবার ফোন দিলাম..
----হ্যালো তন্ময়..
----দোস্ত আমি তিশা। আমার ফোনে চাজ নেই তাই আরিয়ানের ফোন দিয়ে ফোন দিলাম। তুই জলদি চলে আয়। আজ আমার জন্মদিন।
----কোথায় আসতে হবে?
----আমি তোকে ঠিকানা সেন্ড করে দিচ্ছি।


তিশার দেয়া ঠিকানায় গেলাম। অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।আরিয়ানকে দেখে আমি শক খেলাম। এ তো আরিয়ান যে আমায় ধোকা দিয়েছে। এখন আবার আমার বন্ধুর ক্ষতি করতে চাইছে। আমার মাথায় রাগ উঠে গেল। ওর সামনে গিয়ে...
-----ঠাস ঠাস ঠাস..(সবাই আমার দিকে তাকাল।
শয়তানের বাচ্চা,তুই এখানে কি করিস। তোর সাহস,কিভাবে হল এখানে আসার।
----আপনি আমাকে মারছেন কেন।
আমি আরো চারটা থাপ্পড় দিলাম। ওর গাল লাল হয়ে গেল..
----ইতরের বাচ্চা আমাকে তুই চিনিস না এখন তাই না। তোকে আমি খুন করে ফেলব।
আরিয়ান তিশার পিছনে গিয়ে লুকিয়ে পড়ল। আমি সামনে যেতেই..
----দোস্ত তুই যা ভাবছিস তা নয়(তিশা)
----তিশা তুই বুঝছিস না ও কত বড় চিট। ওই আরিয়ান।
----তুই আরিয়ান না তন্ময় ভাইয়ের সাথে রিলেশন করছিস।
----মানে কি শুনি। দেখ আমার সাথে চালাকি করবি না তুই।
-----আরে বাবা আরিয়ান তন্ময় ভাইয়ের জমজ।
কথাটা শুনে আমি ধাক্কা খেলাম। বলললাম..
----কিইইইইই?
----হুম। আমরাই প্লান করি তন্ময় ভাইয়াকে আরিয়ান সাজিয়ে তোর সাথে রিলেশন করাতে।
-----আমাকে আগে বলিস নাই কেন?
----আপনি কি কিছু বলার সুযোগ দিয়েছেন(গাল ধরে আরিয়ান বলল)
----তিশা তুই আমার সাথে এমন করতে পারলি?
----ভাবি তিশার কোন দোষ নেই। আমি তিশার কাছে একদিন পিক চাই। কিন্তু তিশা আপনাকে সহ আমাকে পিক দেয়। সেই পিক ভাইয়া দেখে ফেলে এবং আপনাকে পছন্দ করে ফেলে। তারপর বিয়েত প্রস্তাব দেয়। আমি বিদেশ গেছিলাম কিছুদিনের জন্য তাই বিয়েতে থাকতে পারি নাই।
----তারমানে এতদিন আমি আরিয়ান ভেবে আমার স্বামীর সাথেই..
----জি ভাবি। আপনি ভাইয়ের চেহারা না দেখে আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন প্লান বানানোর।আপনি যখন চলে আসলেন ভাইয়া অনেক কস্ট পায়। আমি দেশে আসার পর সব জানতে পারি। আর,তাই ভাইয়াকে আমি সাজিয়ে আপনার কাছে পাঠিয়ে দিই।
----কোথায় এখন ওই হারামিটা। আমাকে কস্ট দিয়ে কই লুকিয়ে আছে।
----ভাইয়া কাজে একটু বাইরে গেছে।
----আমি কথা বলতে চাই ওনার সাথে?
----ওকে ভাবি।
আরিয়ান তন্ময়কে ফোন দিল। অনেকক্ষন ধরে ফোন দেয়ার পর ধরল। আরিয়ান চিৎকার করে উঠল..
----না..এ হতে পারে না।
আমার মাঝে ভয় ঢুকে গেল। আরিয়ানের চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি। ও যেন পাথর হয়ে গেছে। আমি বললাম..
----আরিয়ান কি হয়েছে। কিছু তো বলো?
----আমায় মাফ করে দাও ভাবি।
বলেই ফ্লোরে বসে পড়ল আরিয়ান
চলবে..
দুঃখিত শেষ করতে পারিনি, আজ শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম আগামীকাল শেষ করবো............
.

নতুন পোস্টের জন্য আমাদের ব্লগে সাথে থাকুন এবং অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্ট শেয়ার করুন.......

Popular posts from this blog

প্রথম দেখাতে আমি প্রেমে পরেছি তোমার..

পাত্রী যখন ছাত্রী.....অসাধারণ একটা ভালোবাসার গল্প আশা করি ভালো লাগবে...

এই পৃথিবীতে নিঃশ্বাস নিতে যে বড্ড কষ্ট হচ্ছে।

পাশের বাসায় আসা নতুন ভাড়াটিয়ার সুন্দরী মেয়েটিকে হঠাৎ আমার নজরে পড়লো ।

Keno Ei Nishongota PARTHO - Lyrics IN BANGLA