Ture Love Stroy Part 06

।

  part 05 এরপর
আমি আরিয়ানের কাছে ফোন নিলাম। আমার হাত কপালে..
----হ্যালো কে বলছেন?
----কেমন আছো জান?
----মানে?কে আপনি?আর আপনার জান কে?
----ভুলে গেলা জান আমি কে?মনে পড়ে আজ থেকে চার বছর আগে আমাকে চর মেরেছিলে তোমাকে ভালবাসার অপরাধে।
----হুম আমি। তুমি ভুলে গেলেও আমি ভুলি নাই। তাই তোমার বর আর তোমার ভাইকে আমি কিডন্যাপ করেছি।
----কি তোর এত বড় সাহস কুত্তার বাচ্চা।
----এই একদম না। আমাকে ভুল করে রাগানোর চেস্টা করবা না। এতে তোমারই ভাল হবে।একটা ঠিকানা দিচ্ছি সেখানে তুমি চলে আসো।
কথাগুলা শোনার পর আমি মাটিতে বসে পড়লাম। কি করব কিছু বুঝতে পারতেছি না..
---ভাবি আমাদের যা করতে হবে তা ঠান্ডা মাথায় করতে হবে। আর ওরা ভাইয়াকে এত সহজে কিভাবে ধরল আমি তাই ভাবছি।
----আরিয়ান আমি কি করব তুমিই বলো।
----ভাবি আমি টেনশনে থাকলে কিছুই করতে পারি না।
----আরিয়ান তোমার চাচা না পুলিশ কমিশনার।
----হুম ধন্যবাদ। আমি চাচ্চুকে জানাচ্ছি।
-----হুম তাই কর আরিয়ান।আর আমি রিফাতের দেয়া জায়গায় যাব।
----না ভাবি আমি কিছুতেই তোমাকে বিপদে ফেলতে পারব না।
----না আরিয়ান আমাকে যেতেই হবে।
।
।
আমি রিফাতের দেয়া ঠিকানায় চলে আসলাম। আরিয়ান আমাকে দূর থেকে ফলো করছে। হঠাৎ একটি গাড়ি এসে আমার সামনে দাড়াল। তারপরে আমার আর কিছু নেই..
জ্ঞান ফিরতে দেখি আমার সামনে রিফাত।আমার মাথা ঘুরাচ্ছে..
----কি হল জান ঘুম ভাঙল?
----তুই এখানে?
----ওমা আমি ছাড়া কে থাকবে?তোমার বর?ওকে তো আমি মেরে আধা মরা করে দিয়েছি।ওকে মেরে আমি তোমার সাথে বাসর সাজাব।
কথাটি বলে রিফাত আর লোকজন হাসল। কি বিদঘুটে সেই হাসি। বুকের মাঝে কেমন একটা টান অনুভব করলাম.
----আমার ভাই আর স্বামী কোথায়?
---- ওরাই তো আমাদের বিয়ের সাক্ষি দিবে। কে আছিস ওকে সাজা।
রিফাতের কথা,শুনে কত গুলি মেয়ে আসলো। মেয়েগুলি আমায় সাজিয়ে দিতে লাগল।
।
।
কিছুক্ষন পর রিফাত আসলো। এসে আমার দিকে লোভাতুর ভাবে তাকাল..
----উফ জান তোমাকে আজ যা সেক্সি লাগছে না।
----চুপ কর জানোয়ারের বাচ্চা আরেকজনের বউয়ের উপর নজর দিলে তোর উপরে আল্লাহ গজব ফেলবে। আমাদের ছেড়ে,দে তাহলে তোর পাপের শাস্তি একটু হলেও কম হবে।
রিফাত আমাকে টানতে টানতে নিয়ে গেল। আমি দেখলাম আমার স্বামীকে ওরা মেরে রক্তাক্ত করে ফেলেছে। আমি ডুকরে ডুকরে কেদে উঠলাম।
----তন্ময় উঠো প্লিজ...
রিফাত একটা কাজি নিয়ে এসেছে। রিফাত রেডি হতে গেল। কাজি বলল..
----ভাবি টেনশন নিও না।পুলিশ এলাকা চারদিকে ঘিরে রেখেছে।
আমি তাকিয়ে দেখি আরিয়ান কাজি সেজে বসে আছে।
----এই কাজি বিয়ে পড়া..
----আজ তোর বিয়ে পড়ানোর শখ আমি বের করব।
কথাটা বলে আরিয়ান ওর গান বের করল। আর রিফাত আমার গলায় চাকু ধরল..
----ভাবিকে ছেড়ে,দে..
হঠাত আরিয়ানের হাত থেকে ছো মেরে বন্দুক নিয়ে নিল রিফাত..
----কে আগে মরবি বল।
রিফাত গুলি চালাবে এমন সময় তন্ময় ওকে লাথি মারল।বাধন ছিড়ে উঠল। কিন্তু রিফাত ওর বুক বরারবর গুলি করল। তন্ময় ওর কোমরের কাছ থেকে দুটি গান বের করে রিফাত সহ সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলল।আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম...
।
।
ঘটনা,সব শেস। আমি তন্ময়ের কাছে ছুটে গেলাম..
----তোমার কিছু হয় নি তো। ও যে,তোমাকে গুলি করল।
----আরে পাগলি কিছু হয় নি আমার। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে ছিলাম আমি।
পুলিশ এর মাঝে ভিতরে ঢুকল। ঢুকেই চাচ্চু ওকে স্যালুট করল।বুঝলাম না পুলিশ কমিশনার হয়ে কেন ওকে স্যালুট করল..
----চাচ্চু তোমাকে বলছি না স্যালুট করবা না।
----আমার কাজ আমি করেছি স্যার।
সবাই চলে গেল। কিন্ত্য আমার ভয় ছাড়ছে না। তন্ময় এতগুলা খুন করল..
----তুমি এতগুলা খুন করলা কেন?
----চিন্তা কর না।
----কিসের চিন্তা করব না তোমাকে যদি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
আমার কথা,শুনে ও হাসছে। আরিয়ান আর তিশাও হাসছে..
----ওই তোরা হাসছিস কেন?
----ভাবি ভাইয়া ক্রাইম ব্রাঞ্চের হেড। ওনাকে কে গ্রেফতার করবে।
-----কি ইইইই..
----হুম। চল তিশা আমাদের আর এখানে থাকা ঠিক বলে মনে হয় না।
আরিয়ান আর তিশা চলে গেল। আমি ওনার বুকে কিল বসিয়ে দিলাম..
----আউউউউউচ..
----কি হল আবার?
----লাগছে তো।
----লাগুক আমাকে অনেক কস্ট দিছো।
----কই দিলাম। তুমি বুঝি দাও নাই
----ওরা তোমাকে এত মারল। তুমি সহ্য করলা কেন?
----চাইলে ওদের দুই মিনিটে মেরে,ফেললতাম। কিন্তু আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুমি আমায় কত ভালবাস।
----তাই কুত্তা।ঠিসুম ঠিসুম।
ও আমাকে জড়িয়ে ধরল।তারপর গালে একটা পাপ্পি দিল। আমি খেয়াল করলাম চাপ দাড়ি..
----এই তোমার দাড়ি কই?
----আরিয়ান কেটে দিছে। রাজি হই নাই তাই ঘুমের মাঝে কেটে দিছে।
আমি কিছু না বলে ওনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল..
----এলিজা আমি যে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার নই।
----আমার দরকার নেই। তোমার মত একজন ভাল মানুষ হলেই চলবে।
ও আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।
।
।
আজ আমি খুব খুশি। আমার আজ দুইটা বেবি হয়েছে। তন্ময় সবাইকে মিস্টি,খাওয়াচ্ছ
ে।কিছ­ুদিন পর আরিয়ান আর,তিশার বিয়ে।কেবিনে এসে দুই পিচ্চু তন্ময়কে কোলে তুলে নিল..
----দেখতে একদম তোমার মত হয়েছে আমাদের দুই ছেলে।
----না,তোমার মত।
----আমার খুব ইচ্ছে আমার দুই ছেলেকে হাফেজ বানাব।
-----হুম আমিও তাই চাই।
ও আমার কপালে চুমু একে দিল। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। এইত চলছে বেশ।
.

নতুন পোস্টের জন্য আমাদের ব্লগের সাথে থাকুন এবং অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্ট শেয়ার করুন.......