Ture Love Stroy Part 04
।
part 03 এরপর
দেখলাম তিশা রুমে এসে ওর সব গুছাচ্ছে।আমি চোখ মুছে ওর সামনে গেলাম..
----কিরে কই যাচ্ছিস?
----এই বেহায়া মেয়ে,একদম আমার সাথে কথা বলার চেস্টা করবি না। আমি আজ থেকে এই রুমে থাকব না। অপবিত্র মেয়ে একটা।ছি তোর সাথে কথা বলতে আমার ঘৃনা করে।সরে যা এখান থেকে।
আমাকে ঠেলা মেরে ফেলে তিশা চলে গেল।আজ আমার বুক ফেটে কান্না বের হচ্ছে।কেন জানি না মনে হচ্ছে আজ যদি আমি মরে যেতাম তাহলে খুব ভাল হত।তিশা আমার ছোটবেলার বন্ধু। আজ আমাদের এগার বছরের বন্ধুত্ব রক্ষা হল না।আমি কি এমন অপরাধ করছিলাম। না না অপরাধ?আমি যে কাজ করেছি তাতে আমার ক্ষমা নেই।আমি যে আমার স্বামীর সাথে বেইমানী করেছি। আমার স্বামীর আমানত রক্ষা করতে পারি নাই।আমার এই অপরাধ ক্ষমা হয় কিভাবে?আমি যে অপবিত্র হয়ে গেছি। আমার বেচে থাকার কোন অধিকার নেই।
।
।
রাত্রি বারোটা বাজে। রুমে আলো জ্বালানো হয় নি। চারদিকে অন্ধকার ছেয়ে আছে। নিস্তব্ধ সব কিছু। এই অন্ধকারের মাঝে আমি বড্ড বেমানান।কখনো ভাবি নাই আমার জীবন এমন একটা রাত আসবে। আজ বাবা,মা,ছোট ভাইয়ের কথা খুব মনে পড়েছে।আর কি কথা হবে না কখনো তাদের সাথে?কিছু বুঝতে পারছি না। অপরাধবোধ আমায় কুড়ে কুড়ে গিলছে।
।
।
তন্ময়ের সাথে কি আমার কোন দিন দেখা হবে?আমি কি কোন দিন তার মুখ দেখতে পারব না?যদি একবার তার মুখ দেখতে পারতাম?না তা সম্ভব না। আমি এই মুখ কিভাবে তার চোখের সামনে দেখাব।চোখ দিয়ে আমার নদী প্রবাহিত হচ্ছে।ভাবছি কাদব না তবুও কান্না আসছে। আজ আমি কাদব। যত কান্না পায় আসুক মনের সব কষ্ট উজাড় করে কাদব আল্লাহ্ কাছে ফরিয়াদ জানাবো তিনি কী আমাকে ক্ষমা করবেন না?
.উহু উহু উহু...
।
।
দূর মসজিদে আযান শুনতে পেলাম। বুঝলাম ভোর হয়েছে। কোন দিন ফযরের নামাজ পড়ি নি আমি। আজ কেন জানি পড়তে খুব ইচ্ছে হলো। ওযু করে এসে জায়নামাজে বসলাম। কিন্তু আল্লাহ কি আমার মত পাপির ইবাদত কবুল করবে। নানু বলত এই পৃথিবীর সব দরজা যদি কারোর জন্য বন্ধ হয়ে যায় তবে একটি দরজা তার জন্য খোলা থাকে সেটা হল নামাজ। নামাজ পড়ে মনে মনে একটা অদ্ভুত শান্তি পেলাম ।
হঠাত্ মনে পড়লো আমি যেদিন চলে এসেছিলাম আমার স্বামী আসার দিন আমাকে একটা ব্যাগ উপহার দিয়েছিল । আমি হোস্টেলে এসে সেটা ফেলে দেই। খুলে দেখার প্রয়োজন মনে করি নি।আজ সেটা খুজছি কিন্তু পাচ্ছি না। আল্লাহর কাছে বললাম আমি কি আমার স্বামীর শেষ স্মৃতিটুকুও হারিয়ে ফেললাম।বেডের নিচে দেখি সেটা অতি অবহেলায় এক জায়গায় পড়ে আছে। আমি সেটা নিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলাম।চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। পড়েই যাচ্ছে..
।
।
ব্যাগটা অতি যত্ন সহকারে খুললাম।খুলতে একটা চিঠি পেলাম। উনি লিখেছে..
এলিজা
আমি জানতাম এমন একটা দিন আসবে যখন তুমি এই ব্যাগ খুলবে। দেখ আজ সেইদিন এসেই গেল।
চিঠিটা পড়ছি আর কান্না করছি। এরপর লিখেছে..
লাল প্যাকেটে মোড়ানো উপহার আছে একটা। তুমি খুব সুন্দর।আর তোমার ঠোটের উপরের তিলটা তোমার এই রুপ বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি তোমাকে এই বোরখা এই কারনে দিলাম কারন তোমাকে দেখার অধিকার আমার ছাড়া আর কেউ নেই।এই বোরখা তোমাকে সব রকম কুনজর থেকে রক্ষা করবে।
আমি জোড়ে কেদে উঠলাম। কারন আমি তো তার আমানত রক্ষা করতে পারি নাই। আমি অপরাধি। আমি আবার মনোযোগ দিলাম..
বাকি প্যাকেটে গুলোতে আমার উপহার গুলো সাজানো আছে। আর লাল কাপড়ে মোড়ানো আমার দেয়া সবচেয়ে দামি উপহার দিলাম।
।
আমি দেখলাম উপহারগুলা সাজানো আছে।লাল কাপড় খুলে দেখি একটা কুরআন শরিফ।তাতে লেখা আছে এলিজা আমি তোমাকে একটি সুন্দর জীবন দান করলাম তুমি ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলো।
আমি সত্তিই এক হিরা হারিয়েছি।তার দেয়া সবশেষে পেকেটে খুললাম। সেখানে একটি জায়নামাজ আর ইসলামের হাদিস আর সুন্নাহর বই আছে।সাথে একটা চিঠি..
এলিজা
তুমি ভাবছ আমি তোমায় এগুলা কেন দিলাম তাই না?তুমি ওযু করে যখন এই জায়নামাজে নামাজের জন্য বসবে তখন এটা এই দুনিয়ার সবচেয়ে পবিত্র জায়গা।আর বই এই কারনে দিয়েছি যাতে তুমি ইসলামের সুমহান ইতিহাস জানতে পার।তুমি কি জানো?ইসলাম এমন একটা ধর্ম যে খারাপ কাজ থেকে মানুষকে সুপথে আনতে পারে।তুমি কি জানো ছেলেদের মুখে দাড়ি আর পর্দাশীল নারী ইসলামের দৃষ্টিতে রাজা আর রানী।মাশআল্লাহ কত সুন্দর তাই না?
।
।
তার লেখা চিঠি পড়তে পড়তে কখন সকাল
হলো বুঝলাম না। হঠাত ফোন আসলো..
----আস সালামুআলাইকুম..
----অলাইকুম আস সালাম। এলিজা আমি নেহা বলছি।
----হুম নেহা বল।
----তুই কি কোন খবর পেয়েছিস।
----কই নাতো কিসের খবর?
----আরিয়ান বিদেশে চলে যাবে নাকি? শুনছিস কিছু?
----তো আমি কি করব। তুই যদি আরেকবার ওর কথা বলছিস তাহলে তোর সাথে..আমার ফেন্ডশিপটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে
----ও যেখানে পারুক যাক ।
-ফোন কেটে দিলাম
চলবে ................
.
part 03 এরপর
দেখলাম তিশা রুমে এসে ওর সব গুছাচ্ছে।আমি চোখ মুছে ওর সামনে গেলাম..
----কিরে কই যাচ্ছিস?
----এই বেহায়া মেয়ে,একদম আমার সাথে কথা বলার চেস্টা করবি না। আমি আজ থেকে এই রুমে থাকব না। অপবিত্র মেয়ে একটা।ছি তোর সাথে কথা বলতে আমার ঘৃনা করে।সরে যা এখান থেকে।
আমাকে ঠেলা মেরে ফেলে তিশা চলে গেল।আজ আমার বুক ফেটে কান্না বের হচ্ছে।কেন জানি না মনে হচ্ছে আজ যদি আমি মরে যেতাম তাহলে খুব ভাল হত।তিশা আমার ছোটবেলার বন্ধু। আজ আমাদের এগার বছরের বন্ধুত্ব রক্ষা হল না।আমি কি এমন অপরাধ করছিলাম। না না অপরাধ?আমি যে কাজ করেছি তাতে আমার ক্ষমা নেই।আমি যে আমার স্বামীর সাথে বেইমানী করেছি। আমার স্বামীর আমানত রক্ষা করতে পারি নাই।আমার এই অপরাধ ক্ষমা হয় কিভাবে?আমি যে অপবিত্র হয়ে গেছি। আমার বেচে থাকার কোন অধিকার নেই।
।
।
রাত্রি বারোটা বাজে। রুমে আলো জ্বালানো হয় নি। চারদিকে অন্ধকার ছেয়ে আছে। নিস্তব্ধ সব কিছু। এই অন্ধকারের মাঝে আমি বড্ড বেমানান।কখনো ভাবি নাই আমার জীবন এমন একটা রাত আসবে। আজ বাবা,মা,ছোট ভাইয়ের কথা খুব মনে পড়েছে।আর কি কথা হবে না কখনো তাদের সাথে?কিছু বুঝতে পারছি না। অপরাধবোধ আমায় কুড়ে কুড়ে গিলছে।
।
।
তন্ময়ের সাথে কি আমার কোন দিন দেখা হবে?আমি কি কোন দিন তার মুখ দেখতে পারব না?যদি একবার তার মুখ দেখতে পারতাম?না তা সম্ভব না। আমি এই মুখ কিভাবে তার চোখের সামনে দেখাব।চোখ দিয়ে আমার নদী প্রবাহিত হচ্ছে।ভাবছি কাদব না তবুও কান্না আসছে। আজ আমি কাদব। যত কান্না পায় আসুক মনের সব কষ্ট উজাড় করে কাদব আল্লাহ্ কাছে ফরিয়াদ জানাবো তিনি কী আমাকে ক্ষমা করবেন না?
.উহু উহু উহু...
।
।
দূর মসজিদে আযান শুনতে পেলাম। বুঝলাম ভোর হয়েছে। কোন দিন ফযরের নামাজ পড়ি নি আমি। আজ কেন জানি পড়তে খুব ইচ্ছে হলো। ওযু করে এসে জায়নামাজে বসলাম। কিন্তু আল্লাহ কি আমার মত পাপির ইবাদত কবুল করবে। নানু বলত এই পৃথিবীর সব দরজা যদি কারোর জন্য বন্ধ হয়ে যায় তবে একটি দরজা তার জন্য খোলা থাকে সেটা হল নামাজ। নামাজ পড়ে মনে মনে একটা অদ্ভুত শান্তি পেলাম ।
হঠাত্ মনে পড়লো আমি যেদিন চলে এসেছিলাম আমার স্বামী আসার দিন আমাকে একটা ব্যাগ উপহার দিয়েছিল । আমি হোস্টেলে এসে সেটা ফেলে দেই। খুলে দেখার প্রয়োজন মনে করি নি।আজ সেটা খুজছি কিন্তু পাচ্ছি না। আল্লাহর কাছে বললাম আমি কি আমার স্বামীর শেষ স্মৃতিটুকুও হারিয়ে ফেললাম।বেডের নিচে দেখি সেটা অতি অবহেলায় এক জায়গায় পড়ে আছে। আমি সেটা নিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলাম।চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। পড়েই যাচ্ছে..
।
।
ব্যাগটা অতি যত্ন সহকারে খুললাম।খুলতে একটা চিঠি পেলাম। উনি লিখেছে..
এলিজা
আমি জানতাম এমন একটা দিন আসবে যখন তুমি এই ব্যাগ খুলবে। দেখ আজ সেইদিন এসেই গেল।
চিঠিটা পড়ছি আর কান্না করছি। এরপর লিখেছে..
লাল প্যাকেটে মোড়ানো উপহার আছে একটা। তুমি খুব সুন্দর।আর তোমার ঠোটের উপরের তিলটা তোমার এই রুপ বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি তোমাকে এই বোরখা এই কারনে দিলাম কারন তোমাকে দেখার অধিকার আমার ছাড়া আর কেউ নেই।এই বোরখা তোমাকে সব রকম কুনজর থেকে রক্ষা করবে।
আমি জোড়ে কেদে উঠলাম। কারন আমি তো তার আমানত রক্ষা করতে পারি নাই। আমি অপরাধি। আমি আবার মনোযোগ দিলাম..
বাকি প্যাকেটে গুলোতে আমার উপহার গুলো সাজানো আছে। আর লাল কাপড়ে মোড়ানো আমার দেয়া সবচেয়ে দামি উপহার দিলাম।
।
আমি দেখলাম উপহারগুলা সাজানো আছে।লাল কাপড় খুলে দেখি একটা কুরআন শরিফ।তাতে লেখা আছে এলিজা আমি তোমাকে একটি সুন্দর জীবন দান করলাম তুমি ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলো।
আমি সত্তিই এক হিরা হারিয়েছি।তার দেয়া সবশেষে পেকেটে খুললাম। সেখানে একটি জায়নামাজ আর ইসলামের হাদিস আর সুন্নাহর বই আছে।সাথে একটা চিঠি..
এলিজা
তুমি ভাবছ আমি তোমায় এগুলা কেন দিলাম তাই না?তুমি ওযু করে যখন এই জায়নামাজে নামাজের জন্য বসবে তখন এটা এই দুনিয়ার সবচেয়ে পবিত্র জায়গা।আর বই এই কারনে দিয়েছি যাতে তুমি ইসলামের সুমহান ইতিহাস জানতে পার।তুমি কি জানো?ইসলাম এমন একটা ধর্ম যে খারাপ কাজ থেকে মানুষকে সুপথে আনতে পারে।তুমি কি জানো ছেলেদের মুখে দাড়ি আর পর্দাশীল নারী ইসলামের দৃষ্টিতে রাজা আর রানী।মাশআল্লাহ কত সুন্দর তাই না?
।
।
তার লেখা চিঠি পড়তে পড়তে কখন সকাল
হলো বুঝলাম না। হঠাত ফোন আসলো..
----আস সালামুআলাইকুম..
----অলাইকুম আস সালাম। এলিজা আমি নেহা বলছি।
----হুম নেহা বল।
----তুই কি কোন খবর পেয়েছিস।
----কই নাতো কিসের খবর?
----আরিয়ান বিদেশে চলে যাবে নাকি? শুনছিস কিছু?
----তো আমি কি করব। তুই যদি আরেকবার ওর কথা বলছিস তাহলে তোর সাথে..আমার ফেন্ডশিপটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে
----ও যেখানে পারুক যাক ।
-ফোন কেটে দিলাম
চলবে ................
.