ভালবাসা নিয়ে খেলা play girl vs friend ৯..শেষ/সমাপ্ত পর্ব
গতকালের বিষয়ের পরে সকালে আমরা তিন বন্ধু চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলাম ।যেহেতু অনেকদিন পরে ওদের সাথে দেখা তাই আড্ডাটা বেশ জমে উঠেছিল । হটাত্ রাজ কোথা থেকে যেন হাঁপাতে দৌড়ে এলো ।
.
.
-আবির পালা ।পুলিশ তোকে খুঁজছে ।
-আমাকে খুঁজছে !কিন্তু কেন ?
.
.
উত্তর পাওয়ার আগেই দুজন জাঁদরেল টাইপের পুলিশ সামনে এসে দাঁড়ালো ।ভয়ে সবারই কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে ।
.
.
-এই তোমাদের মধ্যে আবির কে ?
-জ্বী আমি ।
-আমাদের সাথে চল !
-কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন স্যার আর তাছাড়া আমার দোষ কী ?
-চুপচাপ আমাদের সাথে চল ।তোকে ধরে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার হুকুম আছে ?
.
.
চুপচাপ পুলিশের গাড়িতে করে যেতে থাকলাম ।কিন্তু একি ?পুলিশ স্টেশন তো ঐদিকে ।তাহলে আমাকে এদিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ।অবশেষে এসে থামল সিটি হাসপাতালের সামনে । আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে পুলিশের সাথে থানায় যাওয়ার পরিবর্তে হাসপাতালে এলাম ।কিন্তু একি মিথি ,মেঘা ,অনু ওরা এখানে কেন ?অবশ্যই একটা রহস্য আছে ।
.
.
-এই যে স্যার ঐ ছেলেকে ধরে নিয়ে এসেছি ।(কনস্টেবল)
-আচ্ছা আপনারা যান আমি দেখছি । (ভদ্রলোক)
.
.
অতঃপর কনস্টেবলগুলো চলে গেল ।
.
-তোমার নাম কি আবির ?
-জ্বী ।কিন্তু আমাকে এখানে নিয়ে আসার কারন ?
-তুমি কি অধরা নামের কাউকে চেনো ?
-জ্বী ।আমাদের কলেজের জুনিয়র একজনকে চিনি ।এখন আপনি কোন অধরার কথা বলছেন সেটা তো আমি বলতে পারব না ।
-তুমি যার কথা বলছো সেই অধরাই ।তুমি কি জানো তোমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে ?
-কেন ?
-অধরা সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে ।সেটা শুধুই তোমার জন্য ।
-কি বলছেন এসব ।
-শোনো তোমাকে একটা কথা বলি ।মা মরা মেয়ে আমার ।জীবনে যা চেয়েছে সেটাই এনে দিয়েছি ।কিন্তু তোমার কথা বলতে না পেরে ওর হাত কেটে তোমার নাম লিখেছে ।এই যে আমার এসব শান্ত কন্ঠে এসব বলছি কারন এখনো অধরার বাঁচার সম্ভবনা আছে ।তোমার জন্য যদি আমার মেয়ের জীবন চলে যায় তবে তোমার জীবনটাকেও আমি নরক বানিয়ে দিব ।তোমার এমন হাল করবো যে সেটা তুমি নিজেও ভাবতে পারছো না । আমার মেয়ের জীবনের সাথেই তোমার জীবন নির্ভর করছে ।
-অধরা এখন কোথায় ।আমি ভাবতেই পারিনী ও এটা করে ফেলবে ।
-তোমাদের মধ্যে কি হয়েছে সেটা আমার দেখার বিষয় না ।আমি আমার মেয়ের জীবন চাই ।
.
.
অতঃপর ডাক্তার বেরিয়ে এলো ।
.
.
-আমার মেয়ের কি অবস্থা এখন ডাক্তার সাহেব ?
-এখন ভয়ের কিছু নেই ।জ্ঞান ফিরেছে ।তবে আপনাদের মধ্যে আবির নামে কেউ থাকলে একটু ভিতরে যান ।
-জ্বী আমার নাম আবির ।
-আচ্ছা আপনি ভিতরে যান ।রোগী আপনার সাথে দেখা করতে চাই ।
.
.
ভিতরে গিয়ে দেখি হাসপাতালের বেডে চুপটি মেরে শুয়ে আছে অধরা ।একদম নিরীহ লাগছে । মনে হচ্ছে একদম একটা বাচ্চা শিশু ।
.
-আমি কি একটু বসতে পারি ?
-ও আবির ।তুমি এসেছো ?
-হ্যাঁ এসেছি ।কিন্তু তুমি এটা কি করতে গিয়েছিলে ?যদি কিছু হয়ে যেত ?
- কি করব বলো ? তোমাকে ছাড়া আমি এক মুহূর্ত থাকতে পারছিলাম না ।
-তাই বলে এটা করতে হবে ?
-তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না ।যখন তোমাকেই পাব না তখন বেঁচে কি লাভ ?
-কে বলেছে ?আমিতো তোমারি আছি !
-তাহলে কালকে ওসব বললে কেন ।জানো না আমি কত কষ্ট পেয়েছিলাম ।
-আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম ভালোবাসা নিয়ে খেলার ফল ।কিন্তু আমি জানতাম না তুমি এটা করবে ।
-আচ্ছা তুমি যদি বলো তাহলে আমি সবার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিব ।তবুও তোমাকে আমায় চাই ।
-আচ্ছা বাবা আমি তোমারি আছি ।
-কষ্ট দিবে না তো !
-না ।একদমই না ।
-ভালোবাসবে তো ?
-হুম ভালবাসবো ।খুব ভালোবাসবো আমার পাগলিটাকে ।
-তাহলে একটু জড়িয়ে ধরো ?
-এভাবে ।লোকে কি ভাববে ?
.
.
এই আপনারা সবাই এখান থেকে একটু যান তো পাগলিটাকে একটু জড়িয়ে ধরি । কি হলো ?যাবেন না তো ।আচ্ছা আপনাদের সামনেই জড়িয়ে ধরি পাগলিটাকে ।পাঠক/পাঠিকাগন লজ্জা পাবেন না ।পাগলিটার আবদার পূরন করতে মাঝে মাঝে নিজেকে পাগল হতে হয় ।
.