আঠারোর বাঁধন

 Related image

আঠারো বছর বয়সে তো ম্যাট্রিক পাসও করে না মেয়েরা, এটা বিয়ের বয়স কিভাবে হয়? কবি সুকান্তের' আঠারো বছর বয়স' নিয়ে মহা আয়োজনও হয় এদেশে । আবার আঠারো বছরের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয় এমনকি এর কম বয়সেও সমস্যা নাই। মুখে মুখেই নারীবাদী এ দেশের নারী প্রধানেরা।এমন একটা বিষয় নিয়ে দেশের সবাই চুপ। বেগম রোকেয়া ঠিক ই বলেছিলেন "এ উপমহাদেশের নারীদের মনের ভিতর গোলামী ঢূকে গেছে।" এক জন আগাইতে চাইলে বাকি সবাই টেনে ধরে তাকে আটকে দেয়।
--- --- --- --- --- ---
শিক্ষা vs বিয়ে কিংবা ক্যারিয়ার vs বিয়ে, সমীকরণটা যথেষ্ঠ স্পর্শকাতর হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন তাদের কাছে যারা ক্যারিয়ার গড়ে, দু’ হাতে টাকা কামিয়ে সেটেলড হয়ে বাড়ী, গাড়ীর বন্দোবস্তের পর “ বিয়ে “ নামক এক অধরা স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চায়। এতসবের মাঝে তার বয়স হুড়হুড় করে বেড়ে গিয়ে যদি ঠেকে ৩৫ কিংবা ৪০ এর কৌটায় তাতেও কোন সমস্যা নাই কারণ বিয়ের ক্ষেত্রে “বয়সটা” তখন আর কোন সমস্যা মনে করা হয়না বরং সমস্যা হয় তখনই যখন বয়সের অঙ্কটা ১ কিংবা ২ এর সংখ্যা ঘরেই অবস্থান করে যেমন : ১৮ কিংবা ২২ কিংবা তার আগ পিছে।
২৩ বছরের মেয়েটার ৩৬ বছর বয়সের ছেলের সাথে যখন বিয়ে হয় তখন ১৩ বছরের এই গ্যাপ কি তাদের মনের উপর কোন প্রভাব ফেলে কিনা তা সত্যিই বিবাদের বিষয় কারণ সেটেলড ছেলে ছাড়া তো আবার আজকালকার কনের বাবাগণ কোন কিছুই চিন্তা করতে পারেন না,যাদের কাছে ছেলের সেটেলড থাকাটা শর্ত, তার ইনকাম সম্পর্কিত অন্য পার্টগুলো তেমন বিবেচ্য বিষয় নয়।
এজন্যই আজকালকার মানুষের mentality এমন যে, ২৪ কিংবা ২৬ বছরে মাস্টার্স কমপ্লিট করে তারা চাকুরীর জন্য হায়েনার মতো দৌড়াতে থাকে। তারপর কোনরকমে একটা চাকরী পেলে দু’ হাতে টাকা কামানোর ধান্ধায় নেমে পড়ে, হালাল কিংবা হারামের চিন্তা, সেটা আপাতত শুক্রবার জুমুআর ২ রাকাত সালাতের সময়ের জন্যই বরাদ্দ থাকুক, আগে টাকা কামায়া নিই তারপর অন্য চিন্তা, এর ভিন্ন কিছু কি সাধারণত আপনার চোখে পড়ে?
সবাইকে এক পাল্লায় মাপছিনা কিন্তু অধিকাংশই এক্ষেত্রে হালাল, হারামের তোয়াক্কা করেনা আর এজন্যই তো আজকালকার অনেক আলেমদের মধ্যেও এক্ষেত্রে দুনিয়াদারী ঢুকে গেছে এভাবে যে তারা নিজ মেয়েকে বিয়ে দেবার ক্ষেত্রে ঐ ৩৫ পার করা ব্যক্তিরই খোঁজ করে যারা সেটেলড হবার জন্য জীবনের একটা বড় সময় পার করে দিয়েছে অথচ তার মেয়ে হয়তো ২২ এর ঘরেও পদার্পণ করেনি,অসম্ভব ভাবছেন কি?
ক্যারিয়ারের সাথে বিয়েকে সম্পর্কযুক্ত করবার ফলাফল কি আদৌও সুন্দর হয় নাকি এর পরিণামগুলো কোনটাই বেশি সুখকর হতে দেখা যায় না, কোনটা ঠিক?
বিয়ে নামক পবিত্র এই বন্ধনে জড়াবার পথ যখন এতোটাই ভঙ্গুর হয় তার পরিবর্তে কিসের সম্প্রসারণ বেশি হচ্ছে?
নারীর কিংবা পুরুষের সাহচর্য প্রাপ্তির ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠা বোধহয় একটা ন্যাচারাল বিষয়। একটা বয়সে একজন মানুষ তার ভিন্ন লিঙ্গধারী মানুষের প্রতি টান অনুভব করবে এটাই স্বাভাবিক।
এই সাহচর্য প্রাপ্তির ইচ্ছার বৈধতা দেবার জন্য ইসলাম বিয়ে করতে উৎসাহিত করে যুবা বয়সেই, মধ্য বয়সে নয় ( তাই বলে মধ্যবয়সে বিয়ে যে করাই যাবেনা তা বুঝানো আমার উদ্দেশ্য নয়)। কারণ এক্ষেত্রে মানুষ বৈধ উপায়ে তার জৈবিক চাহিদা পূরণের সাথে সাথে মানসিক প্রশান্তি কিংবা স্থিতিশীলতা লাভ করতেও সক্ষম হয় যেটার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এসবের ব্যত্যয় আমরা এভাবেই ঘটাই যে আমরা বিয়ে বর্হিভূত প্রেম,ভালোবাসা কিংবা শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য হরেক পদ্ধতি তালাশ করতে থাকি যার মাধ্যমে অন্তত জৈবিক তাড়না প্রশমিত করা যায়।আর এজন্যই ধর্ষণের মতো অস্বস্তিকর ঘটনা কিংবা পারস্পরিক বৈবাহিক সম্পর্ক বর্হিভূত শারিরীক সম্পর্কের ঘটনাগুলো এখন হরহামেশাই ঘটছে যেটাতে আমরা দারুণ অস্বস্তিতে পড়ে যাই অথচ বিয়ের বাজারে ৩৫ পার করার দায়বদ্ধতা একপ্রকার শিরোধার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন, তাই নয় কি?
বিয়ের পরবর্তীতে কেন ক্যারিয়ার গড়া যায় না?
এক্ষেত্রে কিসের প্রতিবন্দকতা সামনে চলে আসে?
আপনার ৩৬ কিংবা ৩৭ পার হবার প্রাক্কালে জন্ম নেয়া আপনার সন্তানের যুবাকালীন ১৮ কিংবা ২০ বয়সের সময় আপনার বয়স তো হাফ সেঞ্চুরি পার করেও সাত অতিক্রম করে যায়, তাই না?
৫৭ তে আপনাকে কেউ তাগড়া জোয়ান ভাবছে বলে মনে হয়না তবে আপনার সন্তান অবশ্যই যুবা বয়সী। আপনাদের ( পিতা + সন্তান) বয়সের পার্থক্য নিয়ে কখনো ভেবেছেন কি?
ভাবেন নি কিংবা ভাবলেও এটাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না অথচ বিষয়টা একদমই সহজবোধ্য কিছু নয়।
আজকালকার মেয়েরা যদি মানুষ হয় তাহলে তাদেরও উপরের বিষয়গুলো ভেবে দেখা দরকার কিনা সেটা পাঠক আপনিই বলতে পারবেন কারণ এই লেখার পাঠক শুধু ছেলে নন, মেয়েও আছেন।
--- --- --- --- --- --- ---
ব্যক্তিগতভাবে আমি ঘোর বিরোধী এসব ক্যারিয়ার গড়বার দোহাই দিয়ে বিয়ের সময়কে প্রলম্বিত করবার পদ্ধতিতে কারণ আমি এমন অনেক ব্যক্তিরও উদাহরণও দিতে পারি যারা সঠিক সময়ে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ পায়ে কুড়াল মারেননি বরং আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ তারা তাদের স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সুখী আছেন, এটাও কি অসম্ভব বলে মনে হয় আপনার?
সমস্যাটা ১৮ তে বিয়ে হওয়া কিংবা না হওয়াতে নয় বরং সমস্যা হচ্ছে আজকালকার ছেলে মেয়েদের নৈতিকতা,মূল্যবো
ধের অবক্ষয়ের।
আশঙ্কা হচ্ছে সেটাতেই যেসব সম্পর্ক তাদের চরিত্রতে কালিমা লেপন করছে অথচ আজ আমাদের সমাজে এসব বিষয় জেনেও ছেলে, মেয়ে উভয়ই স্বেচ্ছায় এসব সম্পর্কে জড়ায় আর বলে বেড়ায় “ ভালবাসায় কোন সমস্যা নাই “।
এসব প্রেম,ভালোবাসার বৈধতা বিষয়ক কোন প্রমাণ আজ অবধি কেউ দিতে পেরেছে কিনা তা জানিনা কিন্তু সত্য এটাই যে ইসলামে বিয়ে বর্হিভূত এসব “ প্রেম, ভালবাসার “ কোন স্থান নেই।
ভাবুন ভাবুন।
অনেক গভীরে গিয়ে ভাবুন।
মনমানসিকতা বদলান।
সমাজটাই বদলে যাবে।
 Image result for ballo bibaho

Popular posts from this blog

প্রথম দেখাতে আমি প্রেমে পরেছি তোমার..

পাত্রী যখন ছাত্রী.....অসাধারণ একটা ভালোবাসার গল্প আশা করি ভালো লাগবে...

এই পৃথিবীতে নিঃশ্বাস নিতে যে বড্ড কষ্ট হচ্ছে।

পাশের বাসায় আসা নতুন ভাড়াটিয়ার সুন্দরী মেয়েটিকে হঠাৎ আমার নজরে পড়লো ।

Keno Ei Nishongota PARTHO - Lyrics IN BANGLA