ভালোবাসি তোমায় দিপ্ত
নীল রঙের মৃদু আলোয় তুমি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছো।
আমি আধো খোলা চোখে বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে তোমার চোখে।
কি হল?
এত রাতে কি হয়েছে?
তুমি কথা বলছোনা কেন?
আলতো করে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বল্লে বাইরে যাব,চল।
এত রাতে?
প্রায় ভোর চারটা বাজে।এই শীতের ভিতর কোথায় যাবো?
চারিদিকে কেমন ঘন কুয়াশায় ঢাকা হীম শীতল ঠান্ডা বাতাস।
চল ঘুমাই সোনা।
না,আমি বাইরে যাবো,উঠো বলছি।
নইলে কিন্তু পানি ঢেলে দিবো।
আচ্ছা কোথায় যাবে বল?
ঝিলের পাড়ে।
মাথা খারাপ তোমার?
এখন?মানুষ কি বলবে?
এই সময় আমাদের পাহাড়া দেবার জন্য মানুষ সব জেগে আছে তোমার জন্য।তারাতারি কর,শেষ হয়ে যাবে।
আমি অবাক ভাবনায় অগত্যা তোমায় অনুসরন করলাম।
কুয়াশায় ঘেরা চারপাশ,আর সূর্যদ্বয়ের ঠিক কিছু আগ মুহূর্তে হালকা লালচে আভায় আমার হাত দুটি শক্ত করে তালু বন্ধ করেছে তুমি।চলতে চলতে সেই শাপলা ফোটা ঝিল টার পাড়ে নিয়ে এলে আমায়।যেখানে নানা রঙের শাপলারা ভালোবাসায় একে অপর কে জড়িয়ে থাকে।
বললাম এখানে কেন?
হাত ছেড়ে এবার তুমি ঠিক বুকের মাঝে জায়গা করে নিলে আমার।আমার উষ্মতায় নিজেকে জড়িয়ে বললে শাপলা ফোটা দেখবে।নিশ্চয়ই তোমার মাথায় গন্ডগোল আছে।
এই ভোরে কেউ শাপলা ফোটা দেখতে আসে?
কিছুক্ষন তাকিয়ে আছি এক জোড়া নীল শাপলার তরে।
এই ফুটবে বলে ওরা নতুন পৃথিবীতে।
আস্তে আস্তে চারপাশ টাকে নীল রঙের ছোঁয়ায় মাখিয়ে ওরা ফুটতে শুরু করলো।
আমি স্নীগ্ধ নয়নে তাদের ভালোবাসার প্রস্ফুরীত হওয়া দেখছি।
আমাকে আরো অবাক করে দিয়ে তুমি নেমে গেলে সেই ঝিলের পানিতে।নিজ হাতে সদ্য পস্ফুটিত শাপলা দুটি কে তুলে নিয়ে এলে আমার সামনে।
তারপর ভেজা নীল আঁচল ছড়িয়ে হাটু ভরে বসে গেলে আমার সামনে,শাপলা দুটি আমার হাতে দিয়ে বললে,
ভালোবাসি,
প্রচন্ড ভালোবাসি তোমায়।।।
,
স্বপ্নটা অনেক মধুর ছিল....... তোমার পাগলামি ও বোঝা গিয়েছে... আমার কল্পনায়