এবরশন কে না বলুন
১ম মাস - খুব অস্থির অস্থির লাগছে। মাথা ঘুরাচ্ছে খুব। বমি বমিও লাগছে। কি অদ্ভুত একটা অনুভূতি।
২য় মাস - বমির পরিমান বেড়েছে খুব। ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। ডাক্তার বললো খুশির সংবাদ, মিষ্টি খাওয়ান! আপনি মা হতে চলেছেন! এ খুশি আমি কোথায় রাখি। ডাক্তারকে আরো কিছু ফি বেশি দিয়ে বাসায় চলে এলাম।
৩য় মাস - এই তুই কেমন আছিস? কি করিস? তুই আমাকে শুনতে পাস? আমাকে দেখতে পারিস? জানিস আমার ঝাল খাওয়াটা খুব বেড়েছে! পেট ধরে এভাবেই কথা বলতে লাগলাম ওর সাথে।
৪র্থ মাস - তোর তো এখন হাত পা হয়েছে। এই তুই নাড়াচাড়া করতে শিখেছিস? ডক্তার বললো তুই সুস্থ ভাবে একটু একটু করে আমার কোল জুড়ে বড় হচ্ছিস।৫ম মাস - এত নাড়াচাড়া করলে হয়! একটু কম নড়তে পারিস না? মাঝে মাঝে এমন করিস যে আমার খুব ভয় হয়। সাবধানে থাকিস।
৬ষ্ঠ মাস - কিরে, কি খবর তোর? তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস।তোর জন্য কুশিকাটা দিয়ে জুতা, মুজা, টুপি আর সোয়েটার বানাচ্ছি। খুব আরাম পাবি। আয়নার সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার ছোট্ট সোনাকে দেখছি আর বলছি।
৭ম মাস - এত জোড়ে কেউ লাথি মারে! একটু আস্তে দিলে কি হয়। ডাক্তার বলেছে তুই মেয়ে। ছোট্ট সোনা তুই আমার জীবনে লক্ষ্মী হয়ে আয়। আমি জানি তুই বার বার নাড়াচাড়া আর লাথি দিয়ে আমাকে আভাস দিচ্ছিস যে মা আমি ভালো আছি, মা আমি তোমার সঙ্গেই আছি।
৮ম মাস - তুই এখন অনেক বড় হয়ে গেছিস। জানিস তোর বাবা এখন আমাকে কোন কাজ করতে দেয় না। সবসময় সঙ্গে থাকার জন্য একজনকে এনেছে। সে আমার সব খেয়াল রাখে। তুই কি গান শুনতে পারিস? আয় তুই আর আমি মিলে গান শুনি...
৯ম মাস - ডাক্তার তারিখ দিলো, তোকে আমার কোলে এনে দেবে বলে। আমার যে কি ভালো লাগছে... তুই আমার কোলে আসবি। তোকে নিয়ে সাজাবো নতুন একটা জীবন। আচ্ছা, তুই কার মতো হয়েছিস? আমার মতো নাকি তোর বাবার মতো। এই তুই তোর বাবার মতো রাগী মানুষ হোস না কিন্তু। এত রাগীহওয়া ভালো না।
সকাল থেকে পেটে খুব ব্যাথা। তোর বাবা অফিসে। আর সঙ্গে যে আছে সে একাই বা কি করবে! আর যে সহ্যহচ্ছে না। ছোট্ট সোনা আর একটু সময় দে। তোর বাবা আসছে...কিচ্ছুক্ষণ পর আমি অটি রুমে, খুব ভয় লাগছে আজ আমার। তোর বাবাকে ছেড়ে এরকম একটা রুমে আসতে আমার ভয় লাগছে। কিন্তু তুই তো আমার সঙ্গে আছিস। তাই ভয়টা একটু কম। ডাক্তার বলেছে আমি ভয় পেলে নাকি তুইও ভয় পাবি! তাই সাহস যোগাচ্ছি। পিঠে একটা ইঞ্জেকশন দেয়ারসাথে সাথে আমার সব অবস।
চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে।আর বার বার মুখ থেকে একটাই কথা প্রকাশ পাচ্ছে, "আমার ছোট্ট সোনা, আমার ছোট্ট সোনা"। বলতে বলতে কি হলো জানি না..ঘন্টা খানেক পড়ে জ্ঞান ফিরলো। তোর বাবা তোকে কোলে নিয়ে বসে আছে আমার সামনে। কি সুন্দর একটা দৃশ্য, দেখতেই ভালো লাগছে। তোর সাথে সাথে তোর বাবাও ছোট হয়ে গেছে।আমি বললাম ছোট্ট সোনাকে আমাকে একটু দেবে? তোর বাবা তোকে আমার কোলে দেয়ার সাথে সাথে অপারেশনের সব ব্যাথা ভুলে গেছি তোর মুখ দেখে। কি সুন্দর করে তুই আমার দিকে তাকিয়ে আছিস। এই যে চিনতে পেরেছিস আমাকে? তোকে পুরো ৯ মাস ১৪ দিন এই গর্ভে রেখেছি। একটু একটু করে বড় হয়ে এখন তুই আমার কোলে।
আমাকে মা বলে কবে ডাকবি? তোকে আমি সুন্দর একটা জীবন দেব। তোকে নিয়ে সাজাবো আমার সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ।।
.
২য় মাস - বমির পরিমান বেড়েছে খুব। ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। ডাক্তার বললো খুশির সংবাদ, মিষ্টি খাওয়ান! আপনি মা হতে চলেছেন! এ খুশি আমি কোথায় রাখি। ডাক্তারকে আরো কিছু ফি বেশি দিয়ে বাসায় চলে এলাম।
৩য় মাস - এই তুই কেমন আছিস? কি করিস? তুই আমাকে শুনতে পাস? আমাকে দেখতে পারিস? জানিস আমার ঝাল খাওয়াটা খুব বেড়েছে! পেট ধরে এভাবেই কথা বলতে লাগলাম ওর সাথে।
৪র্থ মাস - তোর তো এখন হাত পা হয়েছে। এই তুই নাড়াচাড়া করতে শিখেছিস? ডক্তার বললো তুই সুস্থ ভাবে একটু একটু করে আমার কোল জুড়ে বড় হচ্ছিস।৫ম মাস - এত নাড়াচাড়া করলে হয়! একটু কম নড়তে পারিস না? মাঝে মাঝে এমন করিস যে আমার খুব ভয় হয়। সাবধানে থাকিস।
৬ষ্ঠ মাস - কিরে, কি খবর তোর? তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস।তোর জন্য কুশিকাটা দিয়ে জুতা, মুজা, টুপি আর সোয়েটার বানাচ্ছি। খুব আরাম পাবি। আয়নার সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার ছোট্ট সোনাকে দেখছি আর বলছি।
৭ম মাস - এত জোড়ে কেউ লাথি মারে! একটু আস্তে দিলে কি হয়। ডাক্তার বলেছে তুই মেয়ে। ছোট্ট সোনা তুই আমার জীবনে লক্ষ্মী হয়ে আয়। আমি জানি তুই বার বার নাড়াচাড়া আর লাথি দিয়ে আমাকে আভাস দিচ্ছিস যে মা আমি ভালো আছি, মা আমি তোমার সঙ্গেই আছি।
৮ম মাস - তুই এখন অনেক বড় হয়ে গেছিস। জানিস তোর বাবা এখন আমাকে কোন কাজ করতে দেয় না। সবসময় সঙ্গে থাকার জন্য একজনকে এনেছে। সে আমার সব খেয়াল রাখে। তুই কি গান শুনতে পারিস? আয় তুই আর আমি মিলে গান শুনি...
৯ম মাস - ডাক্তার তারিখ দিলো, তোকে আমার কোলে এনে দেবে বলে। আমার যে কি ভালো লাগছে... তুই আমার কোলে আসবি। তোকে নিয়ে সাজাবো নতুন একটা জীবন। আচ্ছা, তুই কার মতো হয়েছিস? আমার মতো নাকি তোর বাবার মতো। এই তুই তোর বাবার মতো রাগী মানুষ হোস না কিন্তু। এত রাগীহওয়া ভালো না।
সকাল থেকে পেটে খুব ব্যাথা। তোর বাবা অফিসে। আর সঙ্গে যে আছে সে একাই বা কি করবে! আর যে সহ্যহচ্ছে না। ছোট্ট সোনা আর একটু সময় দে। তোর বাবা আসছে...কিচ্ছুক্ষণ পর আমি অটি রুমে, খুব ভয় লাগছে আজ আমার। তোর বাবাকে ছেড়ে এরকম একটা রুমে আসতে আমার ভয় লাগছে। কিন্তু তুই তো আমার সঙ্গে আছিস। তাই ভয়টা একটু কম। ডাক্তার বলেছে আমি ভয় পেলে নাকি তুইও ভয় পাবি! তাই সাহস যোগাচ্ছি। পিঠে একটা ইঞ্জেকশন দেয়ারসাথে সাথে আমার সব অবস।
চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে।আর বার বার মুখ থেকে একটাই কথা প্রকাশ পাচ্ছে, "আমার ছোট্ট সোনা, আমার ছোট্ট সোনা"। বলতে বলতে কি হলো জানি না..ঘন্টা খানেক পড়ে জ্ঞান ফিরলো। তোর বাবা তোকে কোলে নিয়ে বসে আছে আমার সামনে। কি সুন্দর একটা দৃশ্য, দেখতেই ভালো লাগছে। তোর সাথে সাথে তোর বাবাও ছোট হয়ে গেছে।আমি বললাম ছোট্ট সোনাকে আমাকে একটু দেবে? তোর বাবা তোকে আমার কোলে দেয়ার সাথে সাথে অপারেশনের সব ব্যাথা ভুলে গেছি তোর মুখ দেখে। কি সুন্দর করে তুই আমার দিকে তাকিয়ে আছিস। এই যে চিনতে পেরেছিস আমাকে? তোকে পুরো ৯ মাস ১৪ দিন এই গর্ভে রেখেছি। একটু একটু করে বড় হয়ে এখন তুই আমার কোলে।
আমাকে মা বলে কবে ডাকবি? তোকে আমি সুন্দর একটা জীবন দেব। তোকে নিয়ে সাজাবো আমার সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ।।
.