"শুয়োরের বাচ্চা"র চেয়ে "কুত্তার বাচ্চা" শব্দটা কেন বেশি প্রয়োগ করি জানেন?

                                        Image result for taslima nasrin pic
  "শুয়োর এবং কুকুর দুইটাই নাপাক প্রাণী ৷ কুকুর পোষার অনুমতি থাকলেও শুয়োর পোষার অনুমতি নাই ৷ আসহাবে কাহাফের যুবকদের সঙ্গে একটা কুকুরও ছিলো ৷ কুকুরেরে প্রভূ ভক্তি নিয়ে অনেক গল্প এবং সিনেমাও নির্মিত হয়েছে ৷
বলতে পারেন শুয়োরের চেয়ে কুকুর উৎকৃষ্ট ৷
তারপরও আমরা কাউকে গালি দিতে "শুয়োরের বাচ্চা"র চেয়ে "কুত্তার বাচ্চা" শব্দটা কেন বেশি প্রয়োগ করি জানেন? কুকুরের নির্লজ্জতার কারনে ৷ চতুষ্পদী সকল প্রাণী লেজ দিয়ে তাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখে ৷ কিন্ত কুকুর সব সময় তার লেজটা খাড়া রেখে সবাইকে গোপনাঙ্গ দেখিয়ে বেড়ায় ৷
এখানে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, কুকুরের গোপনাঙ্গটা সাধারণত দুই রানের মাঝে থাকে বলে তেমন দেখা যায় না এবং কুকুর কখনো বাচ্চা জন্ম দেয় না ৷ কিন্তু মহিলা কুকুর মানে কুত্তীর লজ্জাস্থান দেখা যায় এবং সে বাচ্চা জন্ম দেয় ৷ তাহলে আমরা "কুত্তীর বাচ্চা" না বলে "কুত্তার বাচ্চা" বলি কেন?
মানব কূলের মত পশু কূলেও বাচ্চারা বড় হয় পিতৃ পরিচয়ে ৷ যার কারনে আমরা গাভী, বাঘিনী, হস্তিনী ইত্যাদির বাচ্চা না বলে গরু, বাঘ, হাতি ইত্যাদির বাচ্চা বলে থাকি ৷ শত, সহস্র বছর ধরে এভাবে চলে আসছে ৷ এটাকে আপনি স্রষ্টার নিয়ম বা প্রকৃতির লীলা বলতে পারেন ৷ আমাদের তথাকথিত নারীবাদীরা এসব নিয়মের নাম দিয়েছে "পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ৷"
আমাদের দেশে "উইমেন চ্যাপ্টার" নামে এসব তথাকথিত নারীবাদীদের একটা ব্লগ আছে ৷ যাদের বেশির ভাগ লেখায় নারী উন্নয়নের চেয়ে পুরুষ বিদ্বেষটাই বেশি ফোটে উঠে ৷ এদের আবার আধ্যাত্মিক গুরু হচ্ছে আরেক তথাকথিত নারীবাদী তাসলিমা নাসরীন ৷
তাসলিমা নাসরীনকে উদ্দেশ্য করে তার মা বলেছিলেন, "তাইনে যে দিন-রাইত এত ব্যাডাগো নামে বদনাম করে, তাও তো তাইনে ব্যাডাগো ছাড়া থাকতারে না (সে যে দিনরাত পুরুষদের নামে বদনাম করে, তারপরেও তো সে পুরুষদের ছাড়া থাকতে পারে না)৷"
এসব তথাকথিত নারীবাদীর জীবনী পর্যালোচনা করলে তাসলিমার মায়ের কথার সত্যতা পাওয়া যাবে ৷ এদের প্রত্যেকের জীবনে একের অধিক পুরুষের আগমণ ঘটেছে এবং তলে তলে তারা কোন না কোন পুরুষের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখছে ৷ এরা জীবনটাকে তরকারি বাজার মনে করে ৷ আজ এই দোকানের বেগুন পঁচা পড়ছে, কাল অন্য দোকানে যেতে হবে ৷
সমাজ উন্নয়নের চিন্তা করতে গিয়ে তো বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমাম, শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়ার মত মহীয়সীগণের সংসার ভাঙ্গেনি ৷ তাহলে এদের কেন সংসার ভাঙ্গছে? কারন এদের সমাজ উন্নয়নের চিন্তা-ধারা যৌনতা কেন্দ্রিক ৷ এদের দৃষ্টিতে যে সমাজে যত অবাধ যৌনাচার করা যায়, সে সমাজ তত উন্নত ৷
জরায়ু স্বাধীনতা, পরকীয়ার বৈধতা, ধর্ষণ প্রতিরোধে ধর্ষণ, ইভটিজিং প্রতিরোধে ব্রেস্ট দেখানো এদের বেশির ভাগ লেখায় ঘুরেফিরে এসব প্রসঙ্গই উঠে আসে ৷ কিন্তু আমরাতো কুত্তা-কুত্তীর সমাজে বাস করি না যে আমাদের এত নির্লজ্জ হতে হবে!
হ্যাঁ, মানছি আমাদের সমাজের পুরুষেরা নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ তাহলে আপনি মহিয়সী রাবেয়া বসরী, জেবুন্নেসা, ফ্লোরেন্স নাইট্যাঙ্গেল, মাদার তেরসার মত পুরুষদের কাছ থেকে দূরে থাকলেই পারেন ৷ কিন্তু একটার পর একটা পুরুষকে খাইয়া ছাইড়া দিয়া বলবেন, পুরুষরা চরিত্রহীন!
একে অপরকে দোষারোপ করে সমাজে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেওয়া যায়, পরিবর্তন করা যায় না ৷ আজ পর্যন্ত সমাজে যত পরিবর্তন হয়েছে নারী-পুরুষ একে অপরের সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে ৷ এবং এভাবেই সমাজ পরিবর্তন হতে থাকবে ৷
তাইতো কবি বলেছেন -
"মানব সমাজ সংশোধিত হবে মানবিক নিয়মে,
নট কুত্তা-কুত্তীর ঘেউ ঘেউএ ৷"

Popular posts from this blog

প্রথম দেখাতে আমি প্রেমে পরেছি তোমার..

পাত্রী যখন ছাত্রী.....অসাধারণ একটা ভালোবাসার গল্প আশা করি ভালো লাগবে...

এই পৃথিবীতে নিঃশ্বাস নিতে যে বড্ড কষ্ট হচ্ছে।

পাশের বাসায় আসা নতুন ভাড়াটিয়ার সুন্দরী মেয়েটিকে হঠাৎ আমার নজরে পড়লো ।

Keno Ei Nishongota PARTHO - Lyrics IN BANGLA