তোমার মন খারাপ হবার কথা না...
প্রিয়,
অসময়ের বৃষ্টি এখন জানালায়। আমাদের প্রিয় ঝুম বৃষ্টি না, মিহি গুঁড়ার মত জল ছাঁট। তবু তোমাকে মনে করাচ্ছে। তাড়াতে পারছি না কিছুতেই এই সন্ধ্যাটা মাথার ভেতর থেকে... তাই তোমাকে লিখতে বসলাম। আবার...
“নভেম্বর রেইন” গানটার কথা তোমার মনে আছে? অক্টোবর বাদ দিয়ে তোমার জন্মমাসের বৃষ্টি নিয়ে এত সুন্দর একটা গান কেন থাকবে তাই নিয়ে আমার খুব হিংসা ছিলো। “ছিলো”- অতীতকালে লিখতে হচ্ছে, অথচ একটা যদি কিন্তুর হিসাব মিললে... থাক, যে হিসাব মেলেনি সেটা মিললে কি হতো তা লিখে কি হবে!
বরং আমি বৃষ্টির গল্পে ফিরি। তুমি ছিলে না সকালে, যেমন তুমি থাকোনি কোনকালেই, তবুও... মুঠোফোনের ওয়েদার নোটিফিকেশন দেখে রোদ জ্বলা সকালে আমি ঠিক ব্যাগে ছাতা ভরেছিলাম। কথা ছিলো আমাদের, ভুলে যাওয়া ছাতা তুমি ঠিকঠাক হাতে ধরিয়ে দেবে প্রতি বর্ষায়, প্রতি সকালে। তাহলে আমি কি তোমাকে ছাড়াই বেঁচে থাকা শিখে যাচ্ছি... রূপকথা?
কুঁচি কুঁচি জলের ছাঁট আকাশ থেকে নামলে ওটাকে তুষারপাতের মত লাগে শহুরে সন্ধ্যায়। তোমার আমার একসাথে প্রথম দেখতে চাওয়া তুষারপাত! এত অভিমান ছিলো তোমার? রূপকথা যে মেঘের আকাশ থেকে তুষার নামে, কতটা অভিমান নিয়ে তুমি ওই মেঘেরও উপরে গিয়ে জায়গা খুঁজে নিলে? নাকি, নাকি তুমি আকাশের উপর থেকে একা একা মেঘেদের ঝরে যাওয়া দেখবে বলে আমাকে ফাঁকি দিয়ে পালালে?
ভেজা রাস্তায় অসময়ে ভিজে যেতে থাকা মানুষগুলোর চোখে বৃষ্টি যেমন, নিজেকে আমার ওরকম লাগে। অচ্ছুত, অনাকাঙ্খিত! আমার যেন আসার কথা ছিলো না, আমার কোথাও থাকার কথা ছিলো না। তাই তোমার চোখের গভীরে ডুবে যাবার আগেই, আমরা ভালবাসতে শেখার আগেই কত অভিমান জমে জমে তোমাকে নিয়ে গেল কত আলোকবর্ষ দূরে! আরেকটু সময় পেতাম আমরা! যেতে যেতে ঘুরে ফিরে আসতে আবার! ভালবাসার জন্য একটা পুরো জীবন রাখা ছিলো ! কেবল তোমার অভিমানের কাছে পুরোটা জীবন হেরে গেলো।
জানালাটা ঝাপসা হয়ে আসছে... জানি না বৃষ্টি বেড়ে গেলো, না কি আমার চোখে ধুলা পড়েছে। তুমি ভালো থেকো আকাশের উপরে। আলোকবর্ষ দূর থেকে এক বিন্দু জল চোখে পড়ার কথা না।
তোমার মন খারাপ হবার কথা না...
.
অসময়ের বৃষ্টি এখন জানালায়। আমাদের প্রিয় ঝুম বৃষ্টি না, মিহি গুঁড়ার মত জল ছাঁট। তবু তোমাকে মনে করাচ্ছে। তাড়াতে পারছি না কিছুতেই এই সন্ধ্যাটা মাথার ভেতর থেকে... তাই তোমাকে লিখতে বসলাম। আবার...
“নভেম্বর রেইন” গানটার কথা তোমার মনে আছে? অক্টোবর বাদ দিয়ে তোমার জন্মমাসের বৃষ্টি নিয়ে এত সুন্দর একটা গান কেন থাকবে তাই নিয়ে আমার খুব হিংসা ছিলো। “ছিলো”- অতীতকালে লিখতে হচ্ছে, অথচ একটা যদি কিন্তুর হিসাব মিললে... থাক, যে হিসাব মেলেনি সেটা মিললে কি হতো তা লিখে কি হবে!
বরং আমি বৃষ্টির গল্পে ফিরি। তুমি ছিলে না সকালে, যেমন তুমি থাকোনি কোনকালেই, তবুও... মুঠোফোনের ওয়েদার নোটিফিকেশন দেখে রোদ জ্বলা সকালে আমি ঠিক ব্যাগে ছাতা ভরেছিলাম। কথা ছিলো আমাদের, ভুলে যাওয়া ছাতা তুমি ঠিকঠাক হাতে ধরিয়ে দেবে প্রতি বর্ষায়, প্রতি সকালে। তাহলে আমি কি তোমাকে ছাড়াই বেঁচে থাকা শিখে যাচ্ছি... রূপকথা?
কুঁচি কুঁচি জলের ছাঁট আকাশ থেকে নামলে ওটাকে তুষারপাতের মত লাগে শহুরে সন্ধ্যায়। তোমার আমার একসাথে প্রথম দেখতে চাওয়া তুষারপাত! এত অভিমান ছিলো তোমার? রূপকথা যে মেঘের আকাশ থেকে তুষার নামে, কতটা অভিমান নিয়ে তুমি ওই মেঘেরও উপরে গিয়ে জায়গা খুঁজে নিলে? নাকি, নাকি তুমি আকাশের উপর থেকে একা একা মেঘেদের ঝরে যাওয়া দেখবে বলে আমাকে ফাঁকি দিয়ে পালালে?
ভেজা রাস্তায় অসময়ে ভিজে যেতে থাকা মানুষগুলোর চোখে বৃষ্টি যেমন, নিজেকে আমার ওরকম লাগে। অচ্ছুত, অনাকাঙ্খিত! আমার যেন আসার কথা ছিলো না, আমার কোথাও থাকার কথা ছিলো না। তাই তোমার চোখের গভীরে ডুবে যাবার আগেই, আমরা ভালবাসতে শেখার আগেই কত অভিমান জমে জমে তোমাকে নিয়ে গেল কত আলোকবর্ষ দূরে! আরেকটু সময় পেতাম আমরা! যেতে যেতে ঘুরে ফিরে আসতে আবার! ভালবাসার জন্য একটা পুরো জীবন রাখা ছিলো ! কেবল তোমার অভিমানের কাছে পুরোটা জীবন হেরে গেলো।
জানালাটা ঝাপসা হয়ে আসছে... জানি না বৃষ্টি বেড়ে গেলো, না কি আমার চোখে ধুলা পড়েছে। তুমি ভালো থেকো আকাশের উপরে। আলোকবর্ষ দূর থেকে এক বিন্দু জল চোখে পড়ার কথা না।
তোমার মন খারাপ হবার কথা না...
.